জল্পনা বাড়িয়ে রাতে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিজেপি বিধায়ক

Spread the love

কমলনাথ সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ তারা দলের বেশ কিছু সাংসদকে আটকে রেখেছে৷ কংগ্রেসের এই অভিযোগ হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা মধ্যপ্রদেশে৷ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বাড়িতে গেলেন বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি৷ কমলনাথের বাড়িতে যাওয়ার আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন নারায়ন ত্রিপাঠি৷ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিজেপি বিধায়কের আগমণ ঘিরে চরম কৌতুহল তৈরি হয়েছে৷

কয়েকদিন আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন এই বিজেপি বিধায়ক৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাবাসাহেব অম্বেডকর প্রণেত সংবিধান মেনে চলব, না সেটা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে দেব, আগে তা ঠিক হওয়া দরকার। সংবিধানে বলা রয়েছে, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ধর্মের নিরিখে কোনও বিভাজন চলবে না। তার পরেও এ সব চলছে। এতে একটা জিনিসই বোঝায়, হয় আপনি সংবিধানের পক্ষে, নইলে বিপক্ষে।’’

ত্রিপাঠি এও বলেছিলেন যে, ‘‘সিএএ-র বিরুদ্ধে কথা বলছি। তাতে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই আমার। বিজেপি ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সিএএ আনা হয়েছে। এতে বিজেপি লাভবান হচ্ছে বটে, কিন্তু দেশের কোনও লাভ হচ্ছে না।’’

কিন্তু শুক্রবার রাতে বিধানসভার অধ্যক্ষর সঙ্গে দেখা করার পর তাঁর কমলনাথের বাড়িতে যাওয়ায় তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, বিজেপি ছেড়ে ত্রিপাঠি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন৷ তবে বৈঠকের পর ত্রিপাঠি বলেছেন, আমি কোনও ইস্তফা দিইনি৷ আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের উন্নয়নের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম৷

যদিও রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশই ত্রিপাঠির এই যুক্তি মানতে নারাজ৷ তারা মনে করছে, বিজেপির সঙ্গে ভালই দূরত্ব তৈরি হয়েছে ত্রিপাঠির৷ সিএএ-এর বিপক্ষে মুখ খুলে তিনি দলে আরও কোনঠাসা হয়েছেন৷ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পাকা বন্দোবস্ত করতেই কমলনাথের বাড়িতে রাতেই ছুটে গিয়েছেন নারায়ন ত্রিপাঠি৷ তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি৷

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসের আট বিধায়ককে গুরুগ্রামের হোটেলে ‘আটকে’ রাখার অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিশাল টাকা টোপ দিয়ে ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে বিজেপি। ফলে রাজ্যের মন্ত্রীরা ওই হোটেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে বিধায়কদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সরকার গঠনের ১৫ মাসের মাথাতেই সমস্যায় পড়েছেন কমলনাথ। যদিও তাঁর দাবি, সরকারের সামনে কোনও বিপদ নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*