বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতায়। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ… কিছুই বাদ গেল না। সাঁতরাগাছিতে থেকে বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই শুভেন্দুকে আটক করে পুলিশ। প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় লালবাজারে। লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকেও নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। আর এরপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মিছিলের একাংশের অভিমুখ ঘুরে যায় লালবাজারের দিকে। ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা অতর্কিতেই লালবাজারের মূল গেটের ভিতরে পৌঁছে যান বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশ।
আচমকাই বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি বড় মিছিল এগিয়ে যায় লালবাজারের দিকে। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যারিকেড ভেঙে লালবাজারে মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে ভিতরে ঢুকে যান বিজেপির নেতাদের একাংশ। এর আগে বিজেপির লিগাল সেলের কয়েকজন লালবাজারে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। বাকবিতণ্ডা চলছিল। আর তারই মধ্যে আচমকা ব্যারিকেড ভেঙে লালবাজারে পৌঁছে যান বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। যতক্ষণে পুলিশ গোটা বিষয়টি বুঝতে পারে, ততক্ষণে পুলিশের পক্ষে আর বিশেষ কিছু করার ছিল না। কারণ, বিশাল মিছিলের সামনে তুলনায় পুলিশকর্মীদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল।
পরে অবশ্য পুলিশ সেখানে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পদক্ষেপ করে। লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরই মধ্যে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ক্রসিং থেকে আরও একটি মিছিল লালবাজারের দিকে চলে আসে। আর এরপরই আসরে নামে পুলিশ। ময়দানে নামেন পদস্থ পুলিশ কর্তারা। শুরু হয় গ্যাস চার্জ। কার্যত রণক্ষেত্র তৈরি হয়। ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এদিকে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী এবং রাপিড অ্যাকশন ফোর্স আসরে নামে। পুলিশ বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের তাড়া করে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন। সব মিলিয়ে দফায় দফায় উত্তপ্ত লালবাজার চত্বর। খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় লালবাজারের সামনে।
Be the first to comment