এবার খাস কলকাতাতেই বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ। জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তমসা চট্টোপাধ্যায়।
পদত্যাগপত্রে জেলার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে শেষে তিনি লিখেছেন, বোলতার চাকে ঢিল মারায় আগামী দিনে তাঁর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করার নয়। তাঁর কোনওরূপ ক্ষতি বা প্রাণহানির ক্ষেত্রে আইনত দায় থাকবে জেলা সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরি ও দলের এক রাজ্য নেতার।
পদত্যাগপত্রে তমসা অভিযোগ করেছেন, দলীয় সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজের থেকে কাছের মানুষকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলার সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরির বক্তব্য, “ওঁকে (তমসা) আমিই সম্পাদক পদে এনেছিলাম। কোনও সমস্যা থাকলে বসে আলোচনা করলেই মিটে যাবে। কেউ ওঁকে ভুল বোঝাচ্ছে। তমসা আমার সন্তানসম। খুবই স্নেহ করি ওঁকে।” এদিকে, দলের মধ্যে এই কোন্দল নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকতে পারে। কিন্তু এসব কোন্দলের কথা বানানো। দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব-কোন্দল নেই।”
এদিকে, তথাগত রায়ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে তরজা অব্যাহত। দিলীপ ঘোষ নাম না করে তথাগতবাবুর উদ্দেশে বলেছিলেন, “যাঁরা বিজেপি পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনে ফুর্তি ছাড়া কিছু করেননি, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি যাতে কোনওদিনই চার শতাংশের বেশি ভোট না পায়।” দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়ে তথাগত রায় বলেছেন, “আমি কখনও জল ও চা ছাড়া কোনও কিছুই দলীয় দপ্তরের তিন কিলোমিটারের মধ্যে পান করিনি। এটা আমি হলফনামা দিয়ে বলতে পারি।” এরপরই দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ফের টুইটে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment