নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে ফের তৃণমূলনেত্রীর নিশানায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার সুর আরও চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘অন্য দলে থাকলে দোষী, আর বিজেপিতে গেলেই সব মাফ। বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন, যে কেউ যাবেন আর সাদা হয়ে ফিরবেন।’ নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে এই নিয়ে পঞ্চম পদযাত্রা তৃণমূলনেত্রীর।
এদিন রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলনেত্রী। মল্লিকবাজারে মিছিল শেষ করে ফের একবার কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি আধার ইস্যুতেও এদিন ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মমতা।
সিএএ ও এনআরসি বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মল্লিকবাজারে পদযাত্রা শেষে বক্তৃতাতেও একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার ঘৃণার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর।
এদিন রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলনেত্রী। মল্লিকবাজারে মিছিল শেষ করে ফের একবার কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি আধার ইস্যুতেও এদিন ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মমতা।
সিএএ ও এনআরসি বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মল্লিকবাজারে পদযাত্রা শেষে বক্তৃতাতেও একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার ঘৃণার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর।
এপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘লখনউয়ে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারীদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আটকানো হল তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে। ১৪৪ ধারা জারির অজুহাত দেখিয়ে আটকে দেওয়া হল। একই কায়দায় গুয়াহাটিতেও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। এরাজ্যে বিজেপি মিছিল করলে আটকানো হয় না। তাহলে উত্তরপ্রদেশে কেনে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’ বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘অনেক রাজ্যেই বিজেপিবিরোধী সরকার রয়েছে। সেই রাজ্যগুলিতে বিজেপির সঙ্গে একই আচরণ করলে কি হবে।’
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন পড়ুয়ারাও। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দমন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘পড়ুয়াদের আন্দোলনে পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে। ছাত্রদের উপর জুলুম হলে রুখে দাঁড়াব। অধিকার কীভাবে ছিনিয়ে নিতে হয় জানা আছে।’
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে এদিন আরও একবার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘একাধিক ইস্যুতে অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। মুখ খুললেই সরকারি এজেন্সিগুলিকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমেকেও এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।’
এছাড়া এদিন আধার কার্ড নিয়েও কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘প্রথমে বলা হল সব কিছুতেই আধার লাগবে। ব্যাঙ্ক, প্যান সব কিছুতেই আধার যুক্ত করা হল। আবার এখন বলছে আধার কার্ডের প্রয়োজন নেই।’ কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি দেশজুড়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ মমতার। এপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন করুন।’ দেশের যুবসমাজকে সোশাল সাইটে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে আহ্বান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment