বঙ্গ বিজেপি বাঁচাতে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে বসতে চলেছেন। কেন এমনটা হল? মুকুল রায় ফিরে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তারপর থেকেই পদ্মাকাশের ইশান কোণে মেঘ জমতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন পদ্ম–নেতারা। আর তাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির মতো দাপটের সঙ্গে খসে পড়তে পারে বঙ্গ–পদ্মের পাপড়ি। কারণ মুকুল ঝড়ের পূর্বাভাস।
যা অবস্থা তাতে শৃঙ্খলা কমিটি গড়েও চাপা দেওয়া যাচ্ছে না দলীয় কোন্দল। উলটে তা ঢাকা দিতে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করছেন গেরুয়া নেতারা। এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, অমিত মালব্য–সহ অন্যান্য নেতারা। তাঁরা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর। এই বৈঠক শুরু হবে দুপুর ৩টের সময়। বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা—বাংলায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি?
বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ–সহ রাজ্যের পাঁচ সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে শিব প্রকাশের বৈঠকে। নির্বাচনী ভরাডুবি নিয়ে তো আলোচনা হবেই। কিন্তু এই বিপর্যয়ের উপর বিপর্যয় সামাল কী করে দেওয়া যাবে? তা নিয়ে এই বৈঠক। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বহু কর্মী। সেই অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে দিল্লিতে আছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিজেপি সূত্রের খবর, সংগঠন বাঁচানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যেতেই বহু বিধায়ক–সাংসদদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। আবার তাঁরাও নানা বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। বেসুরো গাইছেন বহু বিজেপি নেতা। মুকুল রায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিধায়ককে ফোন করেছেন। মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক স্বীকার করেন, ‘অনেকের সঙ্গেই তো কথা হয়েছে।’ আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্য থেকে কেন্দ্র বিজেপি নেতারা।
Be the first to comment