বিজেপির নবান্ন অভিযান ‘ফ্লপ’। দিনভর ধুন্ধুমার পরিস্থিতির পর সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “এটা একটা ফ্লপ অভিযান। এর কোনও জনভিত্তি নেই, মানুষের সমর্থন নেই এবং ইস্যু নেই। শুধুমাত্র পরিকল্পনা ছিল প্ররোচনা দিয়ে, গন্ডগোল করে, অস্থিরতা তৈরি করে, কোনওভাবে একটি অশান্তি তৈরি করার প্রেক্ষিত। পুলিশ প্রশাসন তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ একেবারেই সমর্থন করেনি। দিশেহারা বিজেপি। শেষ পর্যন্ত ইট, পাথর, অশান্তি, পুলিশের গাড়িতে আগুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা… এগুলিই করেছে। এই বিজেপির কোনও জনভিত্তি নেই।” বিজেপির সঙ্গে বামেদের অভিযানের তুলনা টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির থেকে বামপন্থীদের কর্মসূচি বা ছেলেমেয়েদের স্পিরিট অনেক ভাল ছিল।” যদিও এটি তাঁর ব্য়ক্তিগত মত বলেই জানান কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের হয়রানি হয়েছে। নিন্দনীয় তাঁদের আচরণ। ইট পাথর ছুড়েছেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। অনেক বড় ষড়যন্ত্র ছিল, পুলিশ ভেস্তে দিয়েছে। এটার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ। এই বিরোধী দলনেতা আলুভাতে।” সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল শুরুর আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। যতগুলি ক্যামেরা তাঁর দিকে তাঁক করা ছিল, তত মিনিটও তিনি পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার দম দেখাতে পারেননি। উনি কি বিরোধী দলনেতা? হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন? পুলিশের গাড়িতে নিজে নিজে একা একা চলে গেলেন? এ তো মেরুদণ্ডহীন, ভীরু, কাপুরুষ, আলুভাতে একজন বিরোধী দলনেতা।”
সেই সঙ্গে মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথোপকথন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ” যে বিনোদন আজ শুভেন্দু অধিকারী দেখালেন, তার নাম সপ্তপদী রিভিজিটেড। রিনা ব্রাউন বলেছিলেন, ওঁ আমাকে টাচ করবে না। আজ শুভেন্দু অধিকারী মহিলা পুলিশকর্মীকে বললেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি।” মহাকরণ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ যেভাবে বের করে দিয়েছিল, সেই প্রসঙ্গও এদিন তুলে ধরেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “পুলিশ সীমার গণ্ডি পেরোইনি। হিংসাত্মক জনতাকে সরাতে যেটুকু দরকার, পুলিশ সেটুকু করেছে।”
Be the first to comment