চিরন্তন ব্যানার্জি:-
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে বিরোধীরা স্বর ক্রমশ চওড়া করছে। দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান, ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। একইসঙ্গে লালবাজার অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিলেন বহু নেতা। একই সঙ্গে এই দাবিতে শ্যামবাজারে ধর্ণা বিক্ষোভ করেছিল বিজেপি।
কিন্তু এবার শহরের রাজপথে টানা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ধর্ণায় বসলেন বিজেপি নেতারা। উত্তর রাজ্য বিজেপি সভাপতির ডাকে উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে হাইকোর্টের অনুমতিতে এই কর্মসূচি শুরু হল। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, রাহুল সিনহা, রুদ্রনীল ঘোষ, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্চনা মজুমদার সহ রাজ্য স্তরের নেতারা।
এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল রাত থেকে পুলিশ প্রশাসন সভা বানচাল করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। আজও রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সভা বানচাল করার জন্য। কিন্তু হাইকোর্ট সেই মামলা বাতিল করে দিয়েছে।
এদিন রূদ্রনীল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে ফলে ফোঁস ফাঁস করছে। আর বেশি দিন এই অবস্থা বয়ে বেড়াতে হবে না।
রাহুল সিনহা বলেন, সিবিআই সব নাটক শেষ করুন। অনেক হয়েছে। এবার দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। পুলিশ দেখাচ্ছে রাস্তায় যানজট তৈরী হয়েছে। বৃহৎ কাজে এমন হয়।
এদিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, বিচারের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিছেন কলেজে কলেজে আন্দোলন করার। তাহলে যাঁরা দোষী তাঁদের নিয়ে অবস্থানে বসুন। মুখ্যমন্ত্রী সিবি আইয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। রাজীব কুমার ও বিনীত গোয়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন পুলিশ প্রশাসন সত্য ধামা চাপা দিয়েছে। তাই বিচার চাই।
একইসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী সব আন্দোলন ভেঙে দিতে চাইছে। এই আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে ভেস্তে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা সর্বোপরি আদালতের নির্দেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এই ইস্যুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার রাজভবনে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এদিন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই তড়িঘড়ি রাজভবন থেকে বেরিয়ে দিল্লি রওনা দেবেন রাজ্যপাল।
Be the first to comment