উপনির্বাচনে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয় লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনের এই ফলাফল জানার পর থেকেই থমথমে ভাব বিজেপির সদর কার্যালয়ে। পাঁচ সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে রাজ্য দপ্তরে দেখা মিলল মাত্র এক জন সাধারণ সম্পাদকের। ফাঁকা গোটা রাজ্য দপ্তর।
বৃহস্পতিবার খড়গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়। তিনটি কেন্দ্রেই বাজিমাত করে তৃণমূল কংগ্রেস। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪১৪ ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৯১০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পরাস্ত করে তৃণমূল।
অন্যদিকে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও ভূমিহীন হয় ভূমিপুত্র দিলীপ ঘোষের দল। ভোটের এই ফলে তৃণমূল অক্সিজেন পেয়েছে। তবে, পা টাল খেতে শুরু করেছে বিজেপির। আর গতকাল সেই ছবি ধরা পড়ল রাজ্য বিজেপির সদর কার্যালয়ে।
মুরলি ধর সেন লেনে বিজেপির সদর কার্যালয়। প্রতিদিনই কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ সম্পাদকদের ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় এই কার্যালয়ে। গমগম করে বিজেপির রাজ্য দপ্তর। কিন্তু গতকাল এই বিজেপির সদর কার্যালয়কেই থমথমে থাকতে দেখা গেল। নেই কোনও কর্মী।
প্রতিদিনকার মতো কোনও ব্যস্ততাও নেই। এমন কী, পাঁচ রাজ্য সম্পাদকের মধ্যে সদর কার্যলয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল মাত্র এক জনকে। তিনি হলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, পুলিশ ও প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। তাই বিজেপি খারাপ ফল করেছে। হারের কারণ পুনর্বিবেচনা করা হবে। তবে কী কারণে এই ফল হল সেটা দেখার জন্য প্রতি জেলায় বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে।
Be the first to comment