শিবসেনাকে পাল্টা ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রস্তাব দিল বিজেপি। মন্ত্রীসভায় পোর্টফোলিও ভাগাভাগির ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবে কিছুটা নরম হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরেরা। অবশ্য বিনা শর্তে নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একটি ক্যাবিনেট ও প্রতিমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়েছে শিবসেনা। শর্তে রাজি হলে তবেই দু’পক্ষ আলোচনায় বসতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ডেটলাইন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। কিন্তু, এনডিএ দুই শরিকের মধ্যে অনড় মনোভাবে সরকার গঠনের সমাধানসূত্র মিলছে না। উল্টে, বাক্যবাণে একে অপরের উপর চাপ বাড়াতে সচেষ্ট বিজেপি ও শিবসেনা। এমনকি সরকার গঠনে জোটসঙ্গীর হাত ছেড়ে বিকল্পেরও ইঙ্গিত দেয় সেনা শিবির। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে উদ্ধব ঠাকরের দল।
আসন সংখ্যার নিরিখে জোট গড়েই মারাঠাভূমে বিজেপিকে ক্ষমতায় টিঁকে থাকতে হবে। তাই, আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি থেকে শিবসেনাকে সরে আসার আবেদন জানানো হয় পদ্ণ শিবিরের তরফে। এর বদলে সেনাকে পাল্টা ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সূত্রের খবর, ফড়নবীশ জোট দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কাছে দূত পাঠিয়ে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এতেই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, দরকাষাকষিতে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন ঠাকরেরা। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চাপ দিয়েছে শিবসেনা।
জানা গিয়েছে, জটিলতা না বাড়িয়ে শুক্রবার রাতের এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে শিবসেনা। বদলে বিজেপিকে মানতে হবে তাদের শর্ত। এমনকী গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসতেও রাজি হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফড়নবীশের দূতকে। সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বিজেপি-শিবসেনা নেতৃত্বকে আলোচনায় বসতে দেখা যেতে পারে।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়াই করেছে বিজেপি-শিবসেনা। স্বভাবতাই ১৫০ আসনে লড়ে ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি। শিবসেনার দখলে ৫৬ আসন সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৪৫। ফলে জোট ছাড়া কোনওভাবেই সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। আর সেই সেই সুযোগটাই ভোটের পর কাজে লাগাতে মরিয়া শিবসেনা। ভোটের ফল হের হওয়ার পরই মানতে হবে ৫০-৫০ ফর্মুলা। না হলেই ‘বিকল্পের’ হুমকি। মুখপত্র ‘সামনা’তে বলা হয়েছে তারাই রাজ্যের সরকার গঠনের রিমোট কন্ট্রোল। শরিক বিজেপির উপর আপাতত এই কৌশলেই চাপ বাড়াচ্ছিল শিবসেনা। বিজেপির তরফে অবশ্য সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। প্রস্তাব দেওয়া হয় উপ-মুখ্যমন্ত্রীত্ব ও মন্ত্রিসভার ভালো দফতরের। তাতে রাজি ছিল না সেনা শিবির। ফলে দুই শররিকের মধ্যে জটিলতা বাড়তে থাকে।
Be the first to comment