মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে হাওড়া স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে সকাল থেকেই। এদিন সকাল সকাল হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কর্মীদের রাজ্য সভাপতির বার্তা, “আপনারা ফ্রেশ হয়ে নিন। খাবারের ব্যবস্থা আছে। খাওয়া হলে এখানেই বসবেন।” রাজ্য সভাপতির চারপাশে কর্মীদের মুখে ঘন ঘন শোনা গিয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রচুর কর্মী সমর্থক আমাদের আসতে পারেননি। আফশোস করছেন বাড়িতে বসে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়ায় অনেককে আটক করে আবার রাতে বাড়িতেও পৌঁছে দিয়েছে। যাতে পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা কোনও কিছু বলতে না পারি। তবে এত কিছুর পরও এক একটা ট্রেনে আমাদের কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। আমাদের কর্মীরা উত্তেজনায় ফুটছে। তাঁরা এই নবান্ন অভিযানকে সফল করার জন্য যা করতে হয় সমস্ত কিছু করবে।”
এদিন সকালে মূলত যে কর্মী সমর্থকরা হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে এসেছেন। জঙ্গলমহল প্রথম থেকেই বিজেপির নজরে। সেই জঙ্গলমহলেরও বহু কর্মী এসেছেন এদিন। সুকান্ত মজুমদার জানান, বেশির ভাগই এসেছেন। কিছু পুলিশি বাধার মুখে আসতে পারেননি। তবে আরও দু’টি ট্রেন ঢুকবে। সুকান্ত জানান, “ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ হাজার মানুষ হাওড়া স্টেশনে চলে এসেছেন। আরও দু’টো ট্রেন হলে ১০ হাজারের উপরে মানুষ চলে আসবেন। এরপর এখান থেকেই আমরা সবাই নবান্নের দিকে যাব।”
ইতিমধ্যেই বৃষ্টি একটা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে। তুমুল বৃষ্টিতে গাড়িঘোড়া চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। যদিও সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বৃষ্টি আমাদের কর্মী সমর্থকদের জন্য কোনও বিষয় না। আমরা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার জন্য নেমেছি। বৃষ্টি হোক, ঝড় হোক, তুফান হোক, আমফান হোক, তার থেকে বিজেপির ঝড় বড় হবে।”
Be the first to comment