রাজ্যে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও জারি অশান্তির আবহ। দুই শতাধিক আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফল স্পষ্ট হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মারধর, বোমাবাজির ঘটনা সামনে আসছে। কাঁকুড়গাছিতে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম অভিজিত সরকার।
রবিবার অর্থাৎ ফল প্রকাশের দিন সেই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, পুলিশের চোখের সামনেই পিটিয়ে মারা হয় অভিজিতকে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিত বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই ভাইকে মেরে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদা বিশ্বজিত সরকার।
তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পালের জয়ের পর এ্ই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি হামলার সময় ফেসবুক লাইভেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিজিত। সেই ফেসবুক লাইভে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘স্বপন সমাদ্দার ও পরেশ পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন নারকেলডাঙা পুলিশের সামনে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে দিল।’ এমনকি তাঁর পোষা কুকুরকেও পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে ওই ফেসবুক লাইভে অভিযোগ জানান তিনি। পরে মায়ের চোখের সামনে পিটিয়ে মারা হয় সেই অভিজিতকে। মা মাধবী সরকারকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
বাড়িতে লাগানো ছিল সিসিটিভি। প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই সিসিটিভি ভেঙে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভির তার গলায় পেঁচিয়েও মারার চেষ্টা হয় তাঁকে। অভিজিতের দাদা বিশ্বজিত জানিয়েছেন তিনিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে তাঁরা, অভিযোগ জানাবেন নির্বাচন কমিশনেও।
শুধু কাঁকুড়গাছি নয়, বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটৈছে কান্দিতেও। বিজেপির টাউন সভাপতির বাড়িতে রাতে বিকট শব্দে বোমা ফাটে। সেখানেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
Be the first to comment