তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হাতাহাতি, পাহাড় থেকেই ফিরহাদকে ফোন মমতার

Spread the love

বিধানসভার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবারের ঘটনার পরই তিনি পাহাড় থেকে ফোন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান ফিরহাদের কাছে। এদিন বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। একে অপরের উপর হামলে পড়েন বলে অভিযোগ। জামা ধরে টানাটানি, হাত চালানোর পাশাপাশি কারও কারও মুখের কথাও আগলহীন হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভার মত প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশ্নের অবকাশ রাখে। বিধানসভায় যে ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিধায়ক মনোজ টিগ্গাদের সাসপেন্ড করা হয়।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেন। গোটা বিষয়টি জানতে চান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একজন বিধায়ককে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তিও করা হয়েছে। ২১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অসিত মজুমদার। এই সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।

অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার বেশ অনেক দিনই বিধানসভা অধিবেশন চলল। রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা হয়েছে। বাজেট বিতর্ক হয়েছে। বিরোধী দলের কর্তব্য ছিল সরকারের সমালোচনা গঠনমূলকভাবে করা। তারা প্রতিদিন অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। গায়ের জোরে রাজনীতি করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুই নিরাপত্তা রক্ষী ঝামেলা শুরু করে। এরসঙ্গে ২০ ২৫ জন তৃণমূল বিধায়ক বিশেষ করে শওকত মোল্লা, রহিম বক্সি-সহ বেশ কিছু গুন্ডা, যাঁরা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জড়িত তারা আমাদের বিধায়কদের উপর হাত তোলে, শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। প্রায় ১০ জন বিধায়ক আহত হয়েছেন। ২ জনের আঘাত গুরুতর।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*