ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বোলপুরে। বিজেপির অভিযোগ, শিক্ষকদের ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। অথচ এখানে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নেই, ভোটবাক্সে নেই তালা। তাদের দাবি, এভাবে ভোটের অর্থ ভোট লুঠ হওয়া। এরপরই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধও রাখা হয়।
বুধবার বীরভূমের বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছিল পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণ। ভোট কর্মীরা এদিন ভোট দিতে আসেন। বিজেপির অভিযোগ, কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছাড়াই পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। কার্যত ছিনতাই করা হচ্ছে ব্যালট। বুথের ভিতরে বাক্সে কোনও সিল নেই। শিক্ষকরা ভোট দিতে এসেছেন, অথচ শাসকদলের লোকজন দেখিয়ে দিচ্ছেন কী ভাবে কোথায় ভোট দেবেন।
বোলপুরের এক বিজেপি নেতার দাবি, এদিন যাঁরা ভোট দিচ্ছেন তাঁরা সকলেই ভোট কর্মী। গোটা বাংলায় ভোট নেবেন তাঁরা। বিধানসভার প্রতিটা মানুষকে দেখাবেন কী ভাবে ভোট নেওয়া হয়। অথচ তাঁদের শেখাচ্ছে কী ভাবে ভোট দিতে হবে! এটা তো ভোট লুঠের একটা কায়দা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বীরভূম জেলার বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডলের কথায়, “আজ শিক্ষকরা ব্যালটে ভোট দিচ্ছেন এখানে। আমার কাছে খবর আসে বোলপুরের এই স্কুলে ভোট লুঠ হচ্ছে। এসে দেখি সামাজিক দূরত্বকে শিকেয় তুলে রীতিমত বুথ জ্যামের কায়দায় ভোটগ্রহণ কক্ষে শতাধিক মানুষ ভোট লুঠ করছেন। তৃণমূল প্রভাবিত মাস্টারমশাইরা বলে দিচ্ছেন কোথায় ভোট দিতে হবে। সিল খোলা প্রতিটা ব্যালট বাক্সের। এসডিও-এর উপস্থিতিতে এটা চলে। রিটার্নিং অফিসার, দু’জন বন্দুকধারী পুলিশও ছিলেন। এখনও রাজ্য পুলিশ দলদাস হয়েই রয়ে গিয়েছে।
Be the first to comment