হাইকোর্টের নির্দেশে বনগাঁ পৌরসভায় ফের অনাস্থা ভোট হবে। আগামী বৃহস্পতিবার হবে ভোট ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ৷ এ জন্য পুলিশ সুপার সি সুধাকরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভোটের চিঠি জেলাশাসকের দপ্তর থেকে কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে গেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। পৌরসভায় মোট আসন ২২টি । তৃণমূলের দখলে ছিল ১৯টি আসন। নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন একজন। সিপিআই(এম) ও কংগ্রেসের দখলে একটি করে আসন ছিল। নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ২০টি হয় । জুনে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর বনগাঁ মহকুমাশাসকের কাছে পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ৷ তার পরপরই তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ১৬ জুলাই বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থা ভোট হয়। তবে সেই ভোটকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল চরমে ওঠে ৷ বিজেপি ও তৃণমূল – দু’পক্ষই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করে।
বিষয়টি নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত দু’তরফের দাবি খারিজ করে দেয়। তারপর ২৬ অগাস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, জেলাশাসকের অফিসে নতুন করে অনাস্থা ভোট করতে হবে। এরজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ সুপার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ অনাস্থা ভোট হবে ৷
সংখ্যার বিচারে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা এখন ১৩। তৃণমূল কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাসের দাবি, পৌরবোর্ড তাঁরাই দখল করবেন। অন্যদিকে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মুন্সি বলেন, ১৬ জুলাই অনাস্থা ভোটে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছিলাম। কিন্তু তারপর যা যা ঘটেছে, তা বনগাঁর মানুষ সব জানেন। ৫ সেপ্টেম্বর কী হবে, তা ভগবানই জানেন।
Be the first to comment