বউবাজার অঞ্চলে বারবার ফাটল দেখা দেওয়ায় মেট্রো রেলের দিকেই আঙুল উঠেছে। ঘুম থেকে উঠেই যাঁদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে, তাঁরা বলছেন, অনেক আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। মেট্রোর কাজের জন্যই যে এই ফাটল ধরছে, তা স্পষ্ট। তবে সমাধানের উপায় কী? কতদিন এ ভাবে সবকিছু চলবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম চাইছেন, রেলবোর্ডের শীর্ষকর্তারা হস্তক্ষেপ করুন।
শুক্রবার বউবাজারে অন্তত ১০ টি বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না রেলবোর্ডের একেবারে শীর্ষস্থান থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ এখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বিষয়টা সামলে উঠতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ার নই, কিন্তু দীর্ঘদিন পুরসভার কাউন্সিলর থাকার সুবাদে আমার মনে হচ্ছে যে, যে জায়গায় মেশিন আটকে গিয়েছিল, সেখানেই ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। ওয়াটার পকেট থেকে জল ঘুরে যাওয়ার জন্যই মাটি ধুয়ে কাদায় পরিণত হচ্ছে। আর তার জেরেই এই ঘটনা ঘটছে।
উল্লেখ্য, মেট্রো সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে, মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জন্য যে বোরিং মেশিন আনা হয়েছিল, সেগুলি মাঝপথে মুখোমুখি আটকে যায়। এ ছাড়া ৯ মিটারের একটি স্ল্যাব তৈরি করতে গিয়েই বারবার বাধা পেতে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। মাটির নীচ থেকে জল বেরিয়ে যাওয়াতেই ফাটল ধরছে এলাকার বাড়িগুলিতে।
ফিরহাদের দাবি, এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে দুদিন অন্তর ফাটল দেখা দেবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত সরানো হলেও দু’বছর পর ফের একই সমস্যা হতে পারে। তাই রেলের শীর্ষ স্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তাঁর দাবি, প্রয়োজন হলে ওই এলাকার কিছু বাড়ি ভেঙে ফেলে একেবারে নীচ থেকে পাইলিং করে বাড়ি বানাতে হবে। পরিকল্পনা করে যার যত বর্গফুটের বাড়ি রয়েছে, সেটা দিতে হবে। আর এ সব সিদ্ধান্ত রেল বোর্ডকেই নিতে হবে বলে মনে করছেন তিনি। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এবার ফের বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
Be the first to comment