মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন বিজেপির নেতারাঃ ব্রাত্য বসু

Spread the love

মনীষী ইস্যুতে এবার বিজেপিকে কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর। সোমবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করছে।বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে রাজ্য রাজনীতি তত সরগরম হচ্ছে। একদিকে বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে বিজেপি বার বার আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা বাংলার সংস্কৃতি তথা মনীষীদের হাতিয়ার করে নিজেদের লক্ষে পৌঁছাতে চাইছে বিজেপি। কিছুদিন আগে অমিত শাহ রাজ্যে এসেছিলেন। আর সেইসময় সামলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে পরিদর্শন করেন শাহ। যা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ কটাক্ষ করেছেন। সোমবার ফের একই বিষয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বলেন, স্বামীজি সম্পর্কে কতটুকু জানে বিজেপি? কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন কিছু করেছে তাঁর জন্য? মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। যদি কেউ রামকৃষ্ণ ও স্বামীজির আদর্শ মেনে চলেন তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মমতার অক্সফোর্ড ডিবেটে অংশগ্রহণ বাতিল হওয়া নিয়েও স্বামীজির প্রসঙ্গ টেনে আনেন ব্রাত্য। তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী বিবেকানন্দ যখন শিকাগোতে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন, তখন প্রাথমিকভাবে তা বাতিল করা হয়েছিল। মমতা দির ডিবেটে অংশগ্রহণও বাতিল হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কারা চক্রান্ত করছে তা স্পষ্ট। যাঁরা স্যুট-বুট পরে বসে আছেন, তাঁরাই এসব করছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নাম না করে মনীষী ইস্যুতে কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। তাঁর অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে ভুল বলা হচ্ছে। নজরুল থেকে চৈতন্যদেব, কারওর সম্পর্কে বিজেপির কাছে সঠিক তথ্য নেই। বিজেপি নেতারা ভুল বলছেন মনীষীদের সম্পর্কে। ব্রাত্যর মতে, স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর শিষ্যদের দৈনন্দিন রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন কিন্তু তাঁকেই রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনছে বিজেপি।

পাশাপাশি কৃষি আইন নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা। কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপের আগে থেকেই কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র ধাক্কা খেয়েছে। কৃষকদের আন্দোলন এবং তাঁদের মৃত্যু কেন্দ্রের কাছে বড় ধাক্কা। আমরা প্রথম থেকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি।

আজ গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মিছিল। সেই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য জানান, মিছিল করার অধিকার সবার আছে। দলে আসা-যাওয়া লেগে থাকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*