কয়লাকাণ্ডে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। তলব করা হয়েছে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই পদক্ষেপ আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করছে। বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তৎপরতায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছায়া দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর দাবি, উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পর থেকে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে।
ব্রাত্য বসুর আরও অভিযোগ, বিজেপির অনেক নেতাই এই সব কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তবে, তা জেনেও তাঁদের অনেককেই ডাকা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি জেনেশুনেও কোনও কাজ করছে না দাবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেছেন ব্রাত্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। বিজেপি এ ক্ষেত্রে প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপি করছে বলে দাবি করে ব্রাত্য বলেন, এর জন্যে তাদের পস্তাতেই হবে।
এ ছাড়াও একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে এ দিন আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই এজেন্সির তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। ব্রাত্য-র আরও দাবি, শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি বাংলায় পেরে উঠছে না বলেই এই কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি বাংলায় বিজেপির হাল যত খারাপ হচ্ছে আর তত ওদের নখ-দাঁত বেরিয়ে আসছে বলেও মন্তব্য ব্রাত্য বসুর।
এর আগেও দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক ও রুজিরাকে। এবার ফের তলব করা হয়েছে। এই ইস্যুতে এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থও হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা উভয়েই কলকাতার বাসিন্দা। তাহলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে কেন? জিজ্ঞাসাবাদ যা করার, তা যাতে কলকাতাতেই করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সম্প্রতি।
Be the first to comment