বিগত কিছুদিন ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলের কথা শোনা যাচ্ছে। এই সংক্রান্ত একটি খসড়াও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনও রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া বাকি রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই নিয়েই বিগত কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, রাজ্য সরকার নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে।
অথচ এই পিপিপি মডেলের বিষয়টি সম্পর্ক রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য একেবারে ভিন্ন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি বিষয়টি জানেনই না। বললেন, “কেন পিপিপি মডেল ঘুরছে, আমি জানি না। এটি ভুয়ো কি ভুয়ো নয়, তা পরে জানাব। আমাদের দফতরে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করব কিনা ভাবছি।”
এই পিপিপি মডেলকে ঘিরে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “তিন দিন ধরে ঘুড়ছে বিষয়টি। এটি দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। তবে আমরা আমাদের কাজ করে যাব।”
উল্লেখ্য, প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের নামে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করা যাবে না – এই দাবিতে শনিবার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করলেন এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সদস্যরা। প্রতিবাদকারীদের দাবি, সরকারি পরিকাঠামোতেই শিক্ষাকে উন্নত করতে হবে, বেসরকারিকরণের মাধ্যমে নয়। শনিবার রাজ্যজুড়ে এসএফআইয়ের এই প্রতিবাদ মিছিল চলে। শিক্ষাব্যবস্থার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক দেবাঞ্জন দে।
১৬ ফেব্রুয়ারি জানা যায়, শিক্ষা ব্যবস্থায় পিপিপি মডেল আনার চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য। এই সংক্রান্ত একটি খসড়াও নাকি তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্কুল ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নি দেখা যেতে পারে। এর পাশাপাশি, বেসরকারি ওই সংস্থা স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিষয়টিও দেখতে পারবে বলে জানা গিয়েছিল। তবে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী শনিবার যা বললেন, তা বিগত কয়েকদিনের জল্পনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মুখী স্রোত।
Be the first to comment