১১ বছর পর খোলনলচে বদল, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি ভেঙে দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

Spread the love

জাতীয় শিক্ষানীতির বিকল্প হিসেবে রাজ্যে আরেক শিক্ষানীতি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে ১০ সদস্যের কমিটি। প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। আর এবার রাজ্যের স্কুলগুলির সিলেবাস সংস্কারেও কাজ শুরু করল শিক্ষাদপ্তর। সূত্রের খবর, স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তা নিজেই ভেঙেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার বদলে নতুন একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। তার কাজের মেয়াদ এক বছর বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তবে নতুন কমিটিতে কারা আছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

২০১১ সালে তৈরি হয়েছিল স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রথমে তার চেয়ারম্যান ছিলেন শিক্ষাবিদ সুনন্দ স্যান্যাল। তারপর চেয়ারম্যান পদে বসেন অভীক মজুমদার। তিনিই এখনও পর্যন্ত চেয়ারম্যান। এই কমিটির দায়িত্ব প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস মূল্যায়ন করা, প্রয়োজনে সংস্কার করা। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সেই কাজই এতদিন করে এসেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, এবার সেই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে বদল এল। পুরনো কমিটি ভেঙে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিকে, রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ৬ মে বৈঠকে বসছে রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ কমিটিটি। জানা গিয়েছে, সেখানে ভারচুয়াল কনফারেন্সে উপস্থিত থাকবেন কমিটির শীর্ষে থাকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকারও রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতির খসড়া তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছেন। অর্থাৎ অবিজেপি রাজ্যগুলি কোনওভাবেই কেন্দ্রের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি মানতে রাজি নয়। অন্যান্য অবিজেপি রাজ্য কোন পথে হাঁটছে, সেদিকে নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গও।

২০২০ সালে প্রস্তাবিত নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে কেন্দ্রের তরফেও তোড়জোড় চলছে বেশ। স্থানীয় ভাষা ছাড়াও দুটি ভাষা পড়ানো হোক স্কুলে  – প্রস্তাবে রয়েছে সেই বিষয়টি। আর কেন্দ্রের তরফে তৈরি এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতৃত্বে ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর কস্তুরী রঙ্গন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা চলছে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*