ব্রাজিলকে নিয়ে মাতোয়ারা কলকাতা। কিন্তু কী হচ্ছে খোদ ব্রাজিলে। রবিবার খেলতে নামছে ব্রাজিল। তার আগে উন্মাদনা তুঙ্গে রাজধানী সাও পাওলোতে। সেখানকার বেশিরভাগ অফিসই ব্রাজিলের খেলার দিন কর্মচারীদের সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দেবে, যাতে তারা বিশ্বকাপের খেলা দেখতে পান। বিকেলের দিকে খেলা হলে আগে ছুটি আর সকালে খেলা হলে কর্মচারীরা অফিসে ঢুকতে পারবেন দেরি করে। এমনকি, ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টও বিশ্বকাপের সময় তাদের কাজের সময় পাল্টে ফেলেছে। যেমন ২২ জুন বিচারক ও কর্মচারীরা কেবল বিকেলের দিকে কাজ করবেন। সেদিন ব্রাজিল কোস্টারিকার সঙ্গে খেলবে। ২৭ তারিখে কাজ করবেন সকালে। সেদিন ব্রাজিলের খেলা সার্বিয়ার সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্ট কেবলমাত্র বিশ্বকাপের প্রথম পর্যায়ের কাজের সময়ের তালিকাই প্রকাশ করেছে। ব্রাজিল তার পরের পর্যায়ে উঠতে পারলে সেইমতো আবার বদলানো হবে কাজের সময়ের তালিকা। শুধু দোকানে দোকানে টিভির বিক্রিই বাড়েনি, বিক্রি বেড়েছে বিয়ার, চিপস, পপকর্নেরও।
খেলা অনুযায়ী দোকানের বিক্রিবাটার বাড়া-কমার ব্যাপারেও তৈরি দোকানদাররা। ব্রাজিলের ন্যাশনাল শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষামতো, ৭৩ শতাংশ দোকানদারই প্রতিদিনের সময়েই দোকান খুলবেন। ১৫ শতাংশ দোকানি তাদের দোকান খোলা থাকবে কম সময়ের জন্য, ৭ শতাশ দোকান খোলা রাখার সময় বাড়িয়ে দেবেন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাও পাওলো। মালিকরা কর্মচারীদের খুশি করতে তাদের অফিসে-দোকানে বসিয়ে ফেলেছেন টিভি। কাদের সঙ্গে খেলা, নেইমারের দেশে।
Be the first to comment