খেতাব ধরে রাখার প্রবল চাপ ৷ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল দল ব্রাজিলের উপর প্রত্যাশাটাও বেশি ৷ লাখো ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশা মতোই কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালের স্থান পাকা করলেন নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়ররা ৷ বিপক্ষ চিলির ভিদাল, স্যাঞ্চেজরা চেষ্টা করলেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয় আটকাতে পারল না ৷ শনিবার ভোরে লুকাস পাকুয়েতার একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বাজিমাত করেছে ব্রাজিল ৷
শেষবার ২০০৭ সালে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দু’টি দল ৷ সেবার ৬-১ ব্যবধানে চিলিকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৷ ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই চিলি ভক্তদের সেই পরিসংখ্যান মাথায় ঘুরছিল ৷ এদিনের ম্যাচের ফলাফল এমন নির্মম না হলেও নেইমারদের আটকানোর মতো জায়গা খুঁজে পায়নি চিলির ফুটবলাররা৷
ম্মিযাচের ২২ মিনিটের মাথায় একবার সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলের ৷ কিন্তু নেইমারের ক্রস থেকে বল ধরার সুযোগ পাননি রবার্তো ফিরমিনো ৷ এস্তাদিও স্যান্টোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয় ৷ প্রথমার্ধে দু’টি দলই গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ ৷ বিরতির পর ম্যাচের ৪৫ মিনিটে ফিরমিনোকে তুলে নেন কোচ তিতে ৷ পরিবর্তে নামান লুকাস পাকুয়েতাকে ৷ বদলি হয়ে নামার তিন মিনিটের মধ্যে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন পাকুয়েতা ৷
চিলির বক্সের ভেতর নেইমারের সঙ্গে বল আদান প্রদান করে জালে জড়িয়ে দেন ৷ এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই অবশ্য গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জন্য ব্রাজিল শিবিরের মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয় ৷ প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারের মুখে লাথি মেরে বসেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন ৷ শেষমেশ ওই এক গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নেইমাররা ৷ সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পেরু ৷
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল প্যারাগুয়ে ও পেরু ৷ নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ছিল ৩-৩ ৷ রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে পেরু ৷ গ্রুপ পর্বের মতো সেমিফাইনালেও পেরুকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠাই লক্ষ্য ব্রাজিলের ৷
Be the first to comment