বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেল ব্রাজিল। এদিন সেলেকাওরা ১-০ গোলে হারাল সুইজারল্যান্ডকে। ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোল ক্যাসেমিরোর। এই জয়ের ফলে শেষ ষোলোর রাস্তা কার্যত পাঁকা করে ফেলল তিতের দল।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাঁপায় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্তে ভিনিসিয়াসকে ব্যবহার করে আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করে তারা। ব্রাজিল আক্রমণে ঝড় তুললে রক্ষণ মুজবত করে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় পাকুয়েতার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি রিচার্লিসন। নইলে এবারের বিশ্বকাপে নিজের ৩ নম্বর গোল করতে পারতেন তিনি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ঝাপায় তিতের দল।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়াস। বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান রাফিনহা। বক্সে অরক্ষিত ছিলেন ভিনিসিয়াস। সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় সুইজারল্যান্ড। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় দু’দল। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামান তিনি। আক্রমণে আরও গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে ব্রাজিল। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় সেলেকাওরা। এরই মধ্যে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয় কিন্তু ভিএআর পদ্ধতিতে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করে দেওয়া হয়।
এরপর একের পর এক আক্রমণ চালায় তিতের দল। যার ফলে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। সেলেকাওদের ১-০ এগিয়ে দেন ক্যাসেমিরো। বাঁ প্রান্ত ধরে ভিনিসিয়াস-রদ্রিগো যুগলবন্দিতে বক্সের মধ্যে বল পান ক্যাসেমিরো। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ঝাঁপায় তিতের দল। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।
Be the first to comment