শহরতলিতে ফের ভুয়ো ডাক্তার। এবার সোনারপুরের আদর্শনগর লকগেট এলাকায়। ধৃতের নাম রাকেশ মণ্ডল। তবে এক্ষেত্রে পুলিসের বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
সোনারপুরের আদর্শনগরের বাসিন্দা রোমা হালদারের কিছুদিন আগে ব্রেস্ট টিউমার ধরা পড়ে। এলাকারই ‘ডাক্তার’ রাকেশের কাছে চিকিত্সা করাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, রাকেশের দেওয়া ওষুধ খেয়ে কিছুদিন ধরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন রোমা। দু’দিন আগে অবস্থা বাড়াবাড়ি হয়। রোমার চিকিত্সার জন্য রাকেশকেই বাড়িতে ডাকেন তাঁর পরিবারের লোক। কিন্তু বিপদ বুঝে প্রথমে আসতে রাজি হয়নি রাকেশ। পরে পাড়ার লোকজনের চাপে এসে রোমাকে স্যালাইন দেয় রাকেশ। এরপরই জ্ঞান হারান রোমা। সেদিনই রোমাকে যাদবপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে রোমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর তখনই বোঝা যায় রাকেশ ভুয়ো ডাক্তার। তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেনি রাকেশ।
মঙ্গলবার রাতে রোমার প্রতিবেশীরা রাকেশকে মারধর করেন। রোমার মা জানিয়েছেন, রাকেশ যে আদতে ডাক্তার নয়, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি।
সোনারপুরের আদর্শনগর লকগেট এলাকায় রীতিমতো জাঁকিয়ে পসরা শুরু করেছিল সে। নিজেকে এমবিবিএস পাশ বলে দাবি করত রাকেশ। এলাকারই ওষুধের দোকানে বসেই ডাক্তারির ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল সে। রোমার পরিবারকে অন্ধকারে রেখেই ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিল রাকেশ। প্রেসক্রিপশনে ইঞ্জেকশনের নামটা পর্যন্ত লেখেনি সে। রোমার পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতেই চায়নি সোনারপুর থানা। পরে স্থানীয়দের চাপে রাকেশকে আটক করে পুলিস।
Be the first to comment