পুজোর আগেই অন্য পুজো!
এই তো সেদিন পাটনায় বিরাট করে হোম-যজ্ঞ করল কত্ত ক্রিকেট প্রেমী। প্রার্থনা একটাই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেন জয় পায় ভারত। বিশ্বকাপে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ হলে কলকাতা তো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জন্যও পুজো-অর্চনায় মেতে ওঠে। রাজনৈতিক নেতারা অসুস্থ হলে কর্মীরা প্রায়ই এ সব করে থাকেন। ক’দিন আগে দেশ দেখেছে অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্য লখনৌতে যজ্ঞ করছেন বিজেপি কর্মীরা। এ বার কোনও খেলা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। ব্রিজ যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য যজ্ঞ হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর বেশ কয়ে সপ্তাহ কেটে গেছে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে নবান্ন। কলকাতা শহর ও শহরতলির ২০টি ব্রিজকে চিহ্নিত করে সরকার। যে ব্রিজগুলির অবস্থা ভাল নয়। শুধু তাই নয়, পূর্তমন্ত্রী নবান্নের সভা ঘরে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জানিয়ে দেন, জেলার সেতুগুলির কী অবস্থা তা দ্রুত রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি এরকম ‘অবস্থা ভাল নয়’ সেতু চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে একটি মেদিনীপুর-খড়্গপুর সংযোগকারী কাঁসাই নদীর উপর বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। আর সেখানেই শনিবার হোম-যজ্ঞ করা হলো জেলা বিজেপি-র তরফে। একেবারে পুরোহিত ডেকে, নৈবেদ্য সাজিয়ে, সংকল্প করে নিষ্ঠা ভরে পুজো করলেন গেরুয়াবাহিনীর নেতাকর্মীরা।
ইতিমধ্যেই এই সেতু পরিদর্শন করেছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। দেখে গেছেন জেলা শাসক পি মোহন গান্ধীও। এ বার ব্রিজ বাঁচাতে পুজো করল বিজেপি। জেলা সহ রাজ্যের ব্রিজগুলিতে যাতে মানুষের আর বিপদ না হয় সে কারণেই এই ব্রিজ পুজোর আয়জন বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি-র সভাপতি সমিত দাস। পর্যবেক্ষকদের মতে, পুজো তো একটা মাধ্যম। আসলে বিজেপি এই কর্মসূচি দিয়েই ঘুরিয়ে তির ছুড়ল শাসক দলের দিকে।
Be the first to comment