
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, আর এখনকার দিনে মেয়েরা শুধুমাত্র রাঁধা বা চুল বাঁধাই নয় মেয়েরা এখন পুরুষদের পায়ে পা মিলিয়ে পথ চলতে শিখেছে, বরং কেউ কেউ বলে পুরুষদের থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরাই। রাজনীতি থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রেই এমনকি মহাকাশ পর্যন্ত মেয়েরা পৌঁছে গেছে। এক কথায় তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। রাজনীতিতে মেয়েদের প্রবেশ বহুদিন আগে থেকে হয়েছে। রাজনৈতিক নেত্রী হিসাবে মেয়েদের অবদান রীতিমতো নজর কেড়েছে। তেমনই এক উদাহরণ হল সিপিআইএম ক্ষেত মজদুর সংগঠনের নেত্রী বন্যা টুডু। তিনি আজ রবিবার ব্রিগেডে শীর্ষস্থানীয় বাম নেতাদের সামনে বক্তব্য পেশ করেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন্যা বলেন, ‘আমরা ভাল থাকতে পারি না। দুটো সরকার চলছে। একটা চোরের সরকার, আর একটা ডাকাতের সরকার। তাই আমরা ভাল নেই। বুনোহাতি তাড়ানোর মতো আমাদের এই মুখ্যমন্ত্রীকে তাড়াতে হবে। না হলে আমরা বাঁচতে পারব না। মেদিনীপুরে জমি কাড়া হয়েছে, আমাদের লডাই দিন আনা দিন খাওয়া, খেটে খাওয়া মানুষদের লড়াই। শহরের মানুষরা আমাদের কথা জানেন না। গ্রামের মানুষরাও জানেন না শহরের মানুষের কথা। গ্রামের যারা খেটে খায় তাঁদের দিন প্রতি রোজগার হচ্ছে ১৫০ টাকা আর ২ কেজি চাল।’
ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে তাঁকে দেখা গেল একটি বড় ঝাড়ু নিয়ে মাঠ পরিষ্কার করতে। এই ব্রিগেডের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি তা প্রায় অনেকদিন ধরেই চলছিল। সারাদিন ধরে মাঠে থাকা বক্তৃতা দেওয়া তা সত্ত্বেও ক্লান্ত শরীরে ব্রিগেড কর্মসূচির পরেও তাঁকে এই কাজে দেখা গেল। তাঁর কর্তব্যে তিনি অবিচল। এই কর্তব্য তাঁর একটি সামাজিক কর্তব্য, তাঁকে করতে কেউই বলেন নি। তবুও সমাজের প্রতি তিনি এটিকে তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেছেন।ব্রিগেড কর্মসূচির বাইরে তাঁর এই কর্তব্য পরায়ণ মনোভাব দেখে সকলেই মুগ্ধ।
Be the first to comment