আবারও একটি ব্রিগেডের সম্ভাবনা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বামফ্রন্ট ব্রিগেড সমাবেশর ডাক দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই ব্রিগেডে শুধুই যে বামদলগুলো থাকবে তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। রাহুল গান্ধী আসার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানা গেছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক মেরুকরণে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি এই যুযুধান দুই পক্ষকে মূল শক্তি বলে সকলেই বলছেন। বাম-কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে এটি জানান দিতে চায় যে, এইভাবে মেরুকরণের বিরুদ্ধে তারা তৃতীয় শক্তি বা তৃতীয় জোট হিসাবে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে। যে ইস্যুগুলি নিয়ে বামফ্রন্ট ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছে, তার প্রধান ইস্যু হল কেন্দ্রের কৃষি আইন। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতা প্রথম থেকেই বামফ্রন্ট করছে। এ বিষয়ে তাদের কিষান সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আমরা এবং কংগ্রেস কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে তাদের পাশে আছি। এই ব্রিগেডে কেন্দ্রের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির কথা তুলে ধরব। পাশাপাশি শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের দুরাবস্থার কথাও বলা হবে।’ ব্রিগেডের মঞ্চে বামফ্রন্ট যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবে তেমনই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করা হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তৃণমূল কংগ্রেসের দশ বছরের শাসনকে অপশাসন ব্যাখ্যা দিয়ে সিপিআইএম-এর বক্তব্য, আমরা আমফানের দুর্নীতি, কোভিডের দুরাবস্থা, পুলিশকে দলদাসে পরিণত করা, রাজনৈতিক খুন, কর্মসংস্থানের অভাব প্রভৃতি ইস্যুগুলো তুলে ধরব, তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী নীতি যে সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে তাও বোঝাবো। এখন ব্রিগেডে কত মানুষ হন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ড এই ব্রিগেডে আসেন কিনা তাও সেটাই দেখার।
Be the first to comment