
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রসূন দে নিজের স্ত্রী রোমি ও বউদি সুদেষ্ণাকে খুন করেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমনই নাকি দাবি করেছেন দাদা প্রণয় দে। কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ড, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণয়ের এই দাবির সত্যতা কতখানি, তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন প্রণয় দে ও তাঁর নাবালক ছেলে। তাই বাইপাসের ধারে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন ট্যাংরা-কাণ্ডে আহত হওয়া ওই দু’জন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রণয় ও তাঁর ছেলেকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁদের বাকি চিকিৎসা হবে।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “প্রণয় ও ওই নাবালক এখন সুস্থ। তাদের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
তবে প্রণয় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেও এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না প্রসূন দে। তাঁকে শুক্রবারই আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে জেনারেল বেডে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাঁর আপাতত বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে।
প্রয়োজনে এদিনও হাসপাতালে গিয়ে প্রণয় দে ও প্রসূন দে’কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কলকাতা পুলিশ। ট্যাংরা-কাণ্ডে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। তা হল, রোমি, সুদেষ্ণা, ও নাবালিকাকে কে বা কারা খুন করল? কেন ঘটনার আগের দিন থেকে গাড়ি চালক, সুইপার, পুরোহিতকে আসতে বারণ করা হয়? বাড়িতে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও কেন প্রত্যেকটি নিস্ক্রিয় ছিল? কেন তাদেরকে এরকম একটি চরম পদক্ষেপ নিতে হল?
বাজারে এত কোটি কোটি টাকা দেনা শুধুমাত্র কি দেখানোর জন্য? আদতে খুনের জন্য অন্য মোটিভ কাজ করছিল? বুধবার দেহ উদ্ধারের ঘটানোর আগে কেন একাধিকবার সপরিবারে জীবন শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল? এই প্রকারের হাজার হাজার উত্তর খোঁজার জন্য ইতিমধ্যেই দে পরিবারের দুই ভাইকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment