গত ৬মাস তিনি গৃহবন্দী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঠে-ময়দানেও যেতে অক্ষম। সেকারনেই কিছুদিন হলেও তিনি একটু আউট অফ ফোকাস ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সব মৌনতা ভেঙে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুললেন। বিগত কয়েকদিন ধরে পার্টি কর্মী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারগুলির ওপর আক্রমণ করে তাঁদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই ঘটনাতেই উদ্বিগ্ন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। পঞ্চায়েতী ব্যবস্থা এরাজ্যে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার পথিকৃৎ ও রূপকার বামফ্রন্ট। বুদ্ধবাবু মনে করেন এই ব্যবস্থাকে রাজ্যের বর্তমান শাসক অনেকটা কলুষিত করেছে। জনগণের স্বাধীন অধিকার কেড়ে নিয়েছে শাসকদলের কর্মীরা। ভয়ঙ্কর দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তাই তিনি বলেন আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই-ই। পঞ্চায়েতের ওপর জনগণের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমার আবেদন আমাদের পার্টির সমস্ত কর্মী এবং বাম শিবিরের সমস্ত কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হন। জনসাধারণের কাছে আমাদের পৌছতেই হবে, এবং তা নির্বাচন থেকে সরে এসে নয়। আক্রমণ সন্ত্রাসকে রুখে জনগণকে নিয়েই এগোতে হবে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াই রুটি-রুজি, জীবন-জীবিকার লড়াই। এর জন্য এরাজ্যের শাসকদলকে যেমন পরাস্ত করতে হবে তেমনই বি জে পি’র জয়ের কলঙ্ক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত রাখতে হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার আবেদন প্রতিটি কেন্দ্রে, প্রতিটি বুথে জনসমর্থনকে শক্ত জমির ওপর দাঁড় করান। নির্বাচনী সংগ্রামের শীর্ষে আমরা পৌছেছি। এই সংগ্রামকে সফল লক্ষ্যে নিয়ে চলুন। আমি বামপন্থা ও মানুষের শক্তিতে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসী।
Be the first to comment