সরানো হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। আচার্য সিভি আনন্দ বোস তাঁকে সরালেন পদ থেকে। রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন। তার আগের সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শোরগোল। সমাবর্তনে সায় ছিল না আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। আচার্য সমাবর্তনের অনুমতিও দেননি। আচার্যের কথা অমান্য করায় এই অপসারণ বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। আর উপাচার্য ছাড়া সমাবর্তন সম্ভব নয়। ফলে এই ঘটনার জেরে আগামিকালের সমাবর্তন যে কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল তা বলাই যায়। এদিকে এই বিষয়ে বুদ্ধদেব সাউয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, “আমি বাইরে আছি, দেখছি বিষয়টা।”
কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন বুদ্ধদেব সাউ। রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করে সমাবর্তন করছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা ইউজিসির চেয়ারম্যানেরও। এরইমধ্যে ভরসন্ধ্যায় জানা গেল, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে বুদ্ধদেববাবু আর থাকছেন না।
এদিকে যাদবপুর ওপেন এয়ার থিয়েটারে চেয়ার পাতা হয়ে গিয়েছে রবিবারের সমাবর্তনের প্রস্তুতি হিসাবে। আর সমাবর্তন অনিশ্চিত হলে এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হবে না। বরাবর এই দিনই সমাবর্তন হয়। এই সমাবর্তন নিয়ে প্রথম থেকেই রাজভবনের সঙ্গে টানাটানি চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই নিয়ে এদিনই ব্রাত্য বসু বলেন, “আমার অবাক লাগছে তিনি বলছেন সমাবর্তন করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে আবার গোঁসা হচ্ছে। আসলে ছাত্রছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নয়, ওনার কাছে বড় কথা হল যে কোনওভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরোধিতা করা। শিক্ষা তাঁর কাছে ইস্যু নয়। কেবল পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া, এই প্রবণতা যার মধ্যে দেখা দিচ্ছে আমি বলি ঈশ্বর তাঁদের ক্ষমা করুন।”
Be the first to comment