সাত সকালেই বিপত্তি রাজধানীতে। ভেঙে পড়ল চারতলা একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। শুক্রবার সকালে দিল্লির আজ়াদ মার্কেট এলাকায় ওই বাড়িটি আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এখনও অবধি ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভিতরে কমপক্ষে আরও ৭ জন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফ বাহিনীও উপস্থিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকালেই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, আজ়াদ নগর এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এটি একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিং ছিল। এদিন সকালে যখন শ্রমিকেরা নির্মাণকাজ শুরু করেন, তারপরই হঠাৎ ভেঙে পড়ে বাড়িটি। সেই সময় ভিতরে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা সকলেই ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারাই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। পরে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আসে। শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। দমকল বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এখনও অবধি চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কমপক্ষে আরও ৫ থেকে ৭ জন আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য এনডিআরএফ বাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করা হলেও, গলিটি অত্যন্ত সরু হওয়ায় জেসিবি মেশিন ঢুকতে পারছে না। ভিতরে আটকে পড়ে থাকা শ্রমিকেরা বেঁচে আছেন কিনা, তা জানার জন্য লাইভ ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর থেকেই শ্রমিকরা নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে কাজ শুরু করেছিল। আচমকাই সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। নীচে চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। দিল্লির ডিসিপি জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে যে, চারতলা ওই বিল্ডিংটির কাঠামো অত্য়ন্ত দুর্বল ছিল। সেই কারণে নির্মাণকাজ চলাকালীনই চারতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
Be the first to comment