মোদীর স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্পে জব্বর ধাক্কা। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সময়সীমা ছিল। কিন্তু ফলচাষিদের বাধায় তা সম্ভবপর হবে না বলে সরকারি অফিসাররা মনে করছেন। মোদির অফিস এখন প্রতি সপ্তাহে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অগ্রগতি তদারকি করছে। জাপানকে জানানো হচ্ছে, সবেদা ও আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।
জাপানের অর্থসাহায্যে ১,১৪,৭৪৫ কোটি টাকা খরচে এই প্রকল্প হওয়ার কথা। গত কমাসে মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের ১০৮ কিলোমিটার এলাকায় চলছে টানা কৃষক বিক্ষোভ। গোটা প্রকল্পের এক-পঞ্চমাংশই এই পালঘর এলাকায়। চাষিরা বলছেন, তিরিশ বছর ধরে তাঁরা জমি তৈরি করেছেন। কিছুতেই তা ছেড়ে দেবেন না। জমি রেখে যাব ছেলেমেয়েদের জন্য। এই বাধায় থমকে গিয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। তার ফলে ডেডলাইনের মধ্যে অধিগ্রহণ না হলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির ঋণের টাকা পেতে দেরি হবে।
আগামি মাসেই জাপানি কর্তৃপক্ষ গোটা প্রকল্পের পর্যালোচনা করবে। তার বলছে, কীভাবে জমিদাতাদের অন্যত্র পুনর্বাসন হবে তা সরকারকে জানাতে হবে। তারপরই হবে চূড়ান্ত চুক্তি। ৫০ বছর মেয়াদি ঋণ দিচ্ছে জাপান। বুলেট ট্রেনের প্রায় সব যন্ত্রাংশই দেবে জাপানি কোম্পানিগুলি। জাপানকে আশ্বস্ত করতে ভারতীয় অফিসাররা এ মাসেই টোকিও যাচ্ছেন। ভারত চায় ২০২২ সালের মধ্য়ে প্রকল্প শেষ করতে। সে বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। জমির বাজারদর থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দিচ্ছে রেল। তাছাড়াও ৫ লাখ বাড়তি দিতে তৈরি তারা।
Be the first to comment