বর্ধমানের মিষ্টি বলে কথা, তাতে চমক থাকবে না! সীতোভাগ, মিহিদানা তো রয়েছে, সেই ট্রেন্ড থেকে বেরিয়ে এ বার ভাইফোঁটায় বর্ধমানের মিষ্টির বাজারে হই হই করে বিক্রি হচ্ছে ক্ষীর দই,আমুল ক্ষীর, বোঁদে রোল, চাপ সন্দেশ, ক্ষীরপাই। রয়েছে আরও ভ্যারাইটি। নতুন নতুন মিষ্টি তৈরি করে চমকে দিচ্ছেন কারিগররা।
কেমন চলছে ভাইফোঁটার মিষ্টি? এক গাল হেসে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী জানালেন, ‘’তোফা!‘’ ভিড়টা প্রতি বছরই হয়। এবারেও মিষ্টির দোকানগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। গতকাল থেকেই লম্বা লাইন নামী দামি দোকানগুলির বাইরে। গড়পড়তা দোকানেও যে ভিড় হচ্ছে না, তেমনটা নয়। সব দোকানই কিছু নতুন করার চেষ্টা করেছে।
বর্ধমানের ঐতিহ্য হল সীতাভোগ ও মিহিদানা। ভাইফোঁটাতে এই দুই মিষ্টির উপর মানুষজনের নজর পড়বে না তা কী হয়। শতাব্দী প্রাচীন এই মিষ্টির চাহিদা সারা বছরই এক। বছর দু’য়েক আগে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর সীতাভোগ, মিহিদানার চাহিদা এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। এই দুই মিষ্টির জন্ম ইতিহাস কমবেশি সবারই জানা। লর্ড কার্জন ও লেডি কার্জনকে বর্ধমানে স্বাগত জানাতে মহারাজ বিজয়চাঁদ কারিগরদের নতুন মিষ্টি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজার আদেশ মেনেই কারিগররা আতপচাল, সুজি, আটা, গাওয়া ঘি,চিনি ও এলাচের মিশ্রণে চটপট বানিয়ে ফেলেন নতুন ধরনের দুই মিষ্টি। তার মধ্যে একটির নাম হয় সীতাভোগ, অন্যটির মিহিদানা।
বর্ষীয়ান এক মিষ্টি দোকানির কথায়, বাজারদর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীতাভোগ ও মিহিদানার দাম বেড়েছে। কিলো প্রতি দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে। শেষ ৩০০ টাকায়। সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের মিষ্টিও পছন্দ করছেন ক্রেতারা। ক্ষীর দইয়ের খুব চাহিদা বাজারে। সেই সঙ্গে আমুল ক্ষীর, ক্ষীরপাই ও ক্ষীরবড়ার চাহিদাও দেখার মতো। বোঁদে রোলও চটপট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে দোকানে দোকানে। তা ছাড়া কাজু বরফি, চৌকো বরফি, লর্ড চমচম, গোলাপজাম, ক্ষীরমাখা, পোস্তবরফি, ভ্যারাইটিস রসগোল্লা,ল্যাংচা তো রয়েছেই।
Be the first to comment