ফের প্রবল আওয়াজ। আরও নতুন করে ভেঙে পড়ল কিছু অংশ। যে কোনও মুহূর্তে বাকি অংশটিও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে। আর তা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্টেশন চত্বরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এসেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। রাজ্যের তরফেও ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে পাঠানো হয়েছে। রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ভেঙে পড়ার অংশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বাকি অংশও। যদিও মাঝেমধ্যেই কিছু কিছু অংশ ভেঙে পড়ছে। প্রবল আওয়াজ হচ্ছে। ফলে উদ্ধারকাজ চালাতে গেলে যাতে না কোনও নতুন করে বিপদ ঘটে যায় সেজন্যেই সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। আর তাই সমস্ত স্তরে আলোচনা করেই কি করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, ভেঙে না পড়লে বাকি অংশ আগে ভাঙার কাজ করা হতে পারে।
সতর্কতা হিসাবে মূল ভবনটি ঘিরে রেখেছে আরপিএফ এবং জিআরপি। বাইরের অংশ দড়ি দিয়ে পুলিশের তরফে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে সেখানে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। খালি করা হচ্ছে ভবনটিকে। রেলের তরফে বিশেষ আলো লাগানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভেঙে পড়ল বর্ধমান স্টেশনের একাংশ। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্টেশনের এক অংশ। ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তুপের মধ্যে অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা। রাত ৮টা নাগাদ ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্টেশনের মধ্যে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপিএফ, দমকল সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ঘটনায় দুজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদেরকে বর্ধমান স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় স্টেশনে বহু দূরপাল্লার এবং লোকাল ট্রেন ছিল। ফলে অফিস ফেরত ট্রেন যাত্রীরা তো ছিলই, একেবারে সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ঘটায় বহু মানুষ স্টেশন চত্বরে ছিল। আর এর মধ্যেই ভেঙে পড়ে স্টেশনের মূল ভবনের একাংশ। ফলে অনেকেই এই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে থাকার আশঙ্কা।
Be the first to comment