বাস ভাড়া বৃদ্ধি মামলায় এবার আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য। ১০ হাজার টাকার জরিমানারও নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বাস ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। আদালত রাজ্যকে প্রশ্ন করে, মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহন দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? প্রশ্ন তোল আদালত। রাজ্যের তরফে হলফনামা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপরই জরিমানা ধার্য করে হাইকোর্ট।
আদালতের তরফে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়। বাস ও মিনিবাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরেও কেন সময় মতো দিতে পারেনি রাজ্য? দুই. রাজ্য়ের কাছে কি এই সংক্রান্ত পর্যান্ত তথ্য রয়েছে? তিন. কোথাও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি আদৌ, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু রাজ্যের তরফে সময়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয় না।
প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা মেনে বাস, মিনিবাসের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠায় আদালত। এরপর কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্যও। পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে বাস ও মিনিবাসগুলিতে ভাড়ার তালিকা লাগাতে হবে।
সরকার সর্বশেষ যে ভাড়া নির্ধারিত করেছিল, সেই ভাড়ার তালিকা বাসে লাগিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। বিভিন্ন রুটে বাস ও মিনিবাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মামলা করেন আইবজীহী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। ২০১৮ সালের পরিবহন আইনও মানা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
Be the first to comment