রাজ্যের মুখ্য সচিবের হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে স্কুল শিক্ষা সচিব। উপনির্বাচনের মাঝেই কীভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে? তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব ও স্কুল শিক্ষা সচিব। আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল এবং বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। তার জেরে স্কুলগুলি অনেক আগে থেকেই নিয়ে নিতে হবে ভোটের জন্য। এদিকে ২ এপ্রিল থেকে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার জেরে সব উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতেই পরীক্ষা হবে। সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর পরীক্ষার কথা বলে উপনির্বাচন পিছনোর জন্য আর্জি করেছে। মুখ্য সচিব ও স্কুল শিক্ষা সচিবের বৈঠকের পরই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
উল্লেখ্য, এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা নিজের নিজের স্কুলেই পরীক্ষা দেবেন বলে স্থির হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলেই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণকেন্দ্র হিসেবে স্কুলগুলিকে নিতে সমস্যা হবে নির্বাচন কমিশনের। আবার স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভোটের ডিউটিতেও পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। এ ক্ষেত্রে উপনির্বাচন এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সূচি সংঘাতে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের সূচিতে কি তাহলে ফের বদল করা হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকদের মনে।
এদিকে সোমবারই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন বদল করা হয়েছে। ১৬ তারিখের পরিবর্তে ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। বোর্ড পরীক্ষার সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষার দিন পড়ে যাচ্ছিল বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য আগেই পরীক্ষার দিন বদলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার কি তবে ভোটের জন্য ফের সূচি বদল করতে হবে? ধন্দে পড়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর এরই মধ্যে সোমবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন স্কুল শিক্ষা সচিব। জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর পরীক্ষার কথা বলে উপনির্বাচন পিছনোর জন্য আর্জি করেছে।
Be the first to comment