সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে চলেছে বলে খবর। লোকসভা ভোটের আগে যা নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদীর ‘মাস্টারস্ট্রোক’। তবে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের একটা অংশের তীব্র আপত্তি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রথম থেকে সিএএ-এর বিরোধিকায়। ক্যা ক্যা বলে এই সিএএকে কটাক্ষ করেন তিনি। এ নিয়েই সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবারই বলেন, কী আইন হচ্ছে তা দেখে আগামিকাল মঙ্গলবার যা বলার বলবেন। তবে এদিনও তাঁর অবস্থান তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এই সাংবাদিক সম্মেলনে।
সোমবার রাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA নিয়ে জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি, একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর এমনটাই। লোকসভা ভোটের মুখেই এই আইন কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্র। এদিন রাত ১০ টা নাগাদ জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় কি আদৌ জারি হবে CAA? এই প্রসঙ্গে বারেবারে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য।
CAA নিয়েই তৎপরতার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি কোনও বৈষম্য হয় তাহলে সেই জিনিস আমরা মানি না। যদি আজকে CAA করে বলে আপনারা নাগরিক তার মানে কি এতদিন তাঁরা নাগরিক ছিলেন না? তার মানে কি এই কারণে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল। আমি ডিটেলস দেখার পর সব বলব। যদি CAA দেখিয়ে NRC নিয়ে এসে এখানকার মানুষদের নাগরিত্ব বাতিল করা হয় তাহলে আমরা প্রতিবাদ করব। NRC মানতে পারব না।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন এলেই ওরা কিছু একটা খাইয়ে দেওয়ার চেশ্টা করে। ২০২০ সালে CAA পাশ হয়। এরপর কেন চার বছর লেগে গেল? আজ নির্বাচনের আগে কেন তা ঘোষণা করা হচ্ছে। এটা কি কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা? যদি কোনও বৈষম্য হয় সেক্ষেত্রে মানব না।’তাঁর কথায়,’ আমি পুরোটা দেখে হাবড়ার মিটিং থেকে বলব। তবে একটা কথা বলব কোনও বৈষম্য মানি না। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বৈষম্য মানি না। এটা একটা শো অফ করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি আরও প্রশ্ন করেন, ‘যাঁদের জন্য CAA হয়েছে তাঁদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের ভোট কি মূল্যহীন? কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে আমরা চুপ থাকব না।’
Be the first to comment