নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা। ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে। তবে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার প্রধান। এর তীব্র বিরোধিতা করেছে দিল্লি। এটি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং কোনও বিদেশি শক্তি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
CAA নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্চের সংস্থা। মঙ্গলবারই আবেদন দাখিল করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকারের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সোমবার জেনিভায় হস্তক্ষেপের আবেদনের বিষয়ে ভারতকে জানিয়েছে। রবীশের কথায়, ‘CAA ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি ভারতীয় সংসদের আইন প্রণয়নে সার্বভৌম অধিকারের বিষয়। আমরা কঠোরভাবে বিশ্বাস করি, ভারতের সার্বভৌমত্বের বিষয় নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তির আদালতে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে CAA প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈধ। এটি আমাদের যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। দেশভাগের ট্র্যাজেডির সময় থেকে তৈরি হওয়া মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যাকে সম্মান জানিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়েছে এই আইনে।’
বিচারব্যবস্থা নিয়ে রবীশ বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি আশাবাদী যে, আমাদের আইনগত অবস্থানকে রক্ষা করবে সুপ্রিম কোর্ট।’
গত সপ্তাহে CAA ও উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মিশেল। ভারত সরকারকে হিংসা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।
Be the first to comment