দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হতে চলেছে মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট। কোভিড মহামারী পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত বছর এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষ থেকেই ফের চালু হবে এই MPLADS ফান্ড অর্থাৎ সাংসদদের নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিল প্রকল্প। MPLADS খাতে পাওয়া অর্থ সাংসদরা নিজের এলাকার উন্নয়ন ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে ব্যয় করতে পারেন। চলতি অর্থবর্ষের বাকি অংশে এই খাতে সাংসদরা এলাকা উন্নয়নের কাজে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
বুধবার এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকেই MPLADS-এ টাকা পাবেন সাংসদরা। এই অর্থবর্ষের বাকি থাকা সময়ে সাংসদদের এমপিল্যাডে ২ কোটি টাকা জমা পড়বে। আগামী বছর থেকে এই অর্থ বাড়িয়ে করা হবে ৫ কোটি। এলাকার উন্নয়ন খাতে খরচের জন্য দুই কিস্তিতে আড়াই কোটি টাকা করে পাবেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরা। এই হারে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এমপিল্যাডে টাকা জমা পড়বে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
প্রসঙ্গত, MPLADS-এ জমা পড়া টাকা সাংসদেরা কখনই হাতে পান না। যে কাজের জন্য সাংসদ এই খাতে পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে চাইছেন তা সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যায়। এক্ষেত্রে MPLADS-এর গাইডলাইন অনুযায়ী সাংসদরা তাদের এলাকায় কোন খাতে কী কাজে প্রদেয় অর্থটি ব্যয় করতে চান, সেইটুকু নির্ধারণ করতে পারেন মাত্র। এরপর সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে কাজটির অনুমোদন নিতে হয়।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশে এই খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে কেন্দ্রের হাতে অন্য আরও প্রয়োজনীয় খাতে খরচের জন্য বাঁচে প্রায় ৭৮০০ টাকা। তৎকালীন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ বহু বিরোধী নেতারা মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনের পর বহরমপুর লোকসভার পাঁচবারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, এমপিল্যাড ফান্ড অর্থাৎ সাংসদ তহবিলের টাকায় মু্র্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সুবিধা সহ দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়তে চান। এই প্রকল্প বন্ধ থাকায় এতদিন লাল ফিতের ফাঁসে আটকেছিল সাংসদের ইচ্ছে।
Be the first to comment