কেক তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন কোচবিহারের মহিলা সাংবাদিক মনামী বসু

বিশেষ প্রতিবেদন

Spread the love

কোচবিহারের মহিলা সাংবাদিক মনামী বসু। ফিল্ড রিপোর্টিং, স্টুডিও রিপোর্টিং বা ডেস্ক সব জায়গায় পারদর্শিতার সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মনামী। তার পাশাপাশি এই সাংবাদিকতার বিভিন্ন কাজের মতো কেক বেকিং তাঁর নেশা। ক্রীসমাসকে সামনে রেখে বরাবরের মত কেক বানাতে ব্যস্ত সে। শুধু ক্রীসমাস নয়, বলা যেতে পারে এটি একটি উপার্জনের রাস্তা। কেক যেকোনও অনুষ্ঠানে  প্রয়োজন হয়। তাই সে এই কাজটিকে পেশা হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।

জানা গেছে, বাড়িতে ফ্রেস জিনিস দিয়ে কেক বানিয়ে বাইরে হোম ডেলিভারি করে তার শখ পূরন করছে সে। পাশাপাশি এই ব্যবসায় তার উপার্জন ও লাভ হচ্ছে ক্রমশ। এক কথায় যাকে বলে স্বর্নিভর হওয়া। সাইজ অনুসারে কেকের দাম নির্ধারণ করা হয়। এই কাজে মনামীর  প্রিয় বান্ধবী কনিকা রায় তার পাশে থেকে সবসময় সহযোগিতাযর হাত বাড়িয়ে দেয়। দু-জনে মিলে সুন্দরভাবে নিজেদের ব্যবসা সামলাচ্ছেন।

এই বিষয়ে মনামী জানান, অর্ডার ও পাচ্ছি, অর্ডার মত সেল করতে পেরে আমরা লাভের মুখও দেখছি,পাশাপাশি অন্য লোকেদের ও সাহায্য করতে পেরেছি।

এছাড়াও  একজন গৃহবধূ এই কেকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিজের পায়ে যেমন লাভবান হয়ে স্বনির্ভর হয়েছেন তেমনি আয় করে সংসার জীবন ও পালন করছেন, ওনার নাম-নন্দিতা ভট্টাচার্য। ওনার এই আগ্ৰহ দেখে অনেকেই এখন যোগাযোগ করছেন বলে উনি জানান।

তবে কেক প্রস্তুত করতে ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সাংবাদিক মনামী বসু  উপকরণ কি কি লাগে সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান।

উপকরন:-ময়দা, ডিম, সাদাতেল, চিনি, ট্রুটিফ্রুটি, কিসমিস, কাজু, আমন্ডসাথে বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, ভেনিলা এসেন্স।

প্রনালী:-প্রথমে ২কাপ ময়দা, ২কাপ  চিনি, ৩-৪টে ডিম, সাদা তেল, বিভিন্ন ফ্রুড, ভেনিলা এস্নেস ১চামচ, বেকিং পাউডার ১চামচ, বেকিং সোডা, ১চামচ, সাথে এক কাপ দুধ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। সমস্ত জিনিস ভালো করে করে মেশাতে হবে যাতে ব্যাটারটা ফুলে ওঠে। তার পর কেকের ওভেনে বাটার বা সাদা তেল সাথে ময়দা  ভালো করে ওভেনের গায়ে লাগাতে হবে যাতে না লেগে যায়। শেষে ৩০-৪৫মিনিট অল্প আঁচে বসিয়ে রাখলেই তৈরী। যার নাম হোম মেড ফ্রুড কেক।

সর্বশেষে বলাই বাহুল্য, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের মহিলা সাংবাদিক মনামী বসু সাংবাদিকতা করার পাশাপাশি কেক তৈরি করে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর হচ্ছেন, পাশাপাশি অন্যান্য মহিলাদেরও তিনি স্বনির্ভর গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। মনামী বসুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার একাংশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*