নিছকই দুর্ঘটনা? নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? ক্যালিফোর্নিয়ায় গভীর খাদে পড়ে ভারতীয় দম্পতির মৃত্যুর পর উঠে আসছে এমনই নানা প্রশ্ন।
জোশেমাইট ন্যাশনাল পার্কের টাফ্ট পয়েন্ট। পর্যটকদের ভিড়। ছবি তোলার হিড়িক। ভিউ পয়েন্টের ঠিক পাশেই ৮০০ ফুট গভীর খাদ। তারই কিনারায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন এক ভারতীয় দম্পতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন দু’জনে। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান দু’জনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর খাদে পড়ে গেছেন ওই দম্পতি। ঘটনাটা ২৪ অক্টোবরের। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তল্লাশি অভিযানে পরদিনই উদ্ধার হয় ওই দম্পতির দেহ। গতকাল, ২৯ অক্টোবর তাঁদের দেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজনেরা।
বছর উনত্রিশের বিষ্ণু বিশ্বনাথ ও বছর ত্রিশের মীনাক্ষি মূর্তি। কেরলের বাসিন্দা বিষ্ণু পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে সস্ত্রীক নিউইয়র্কে থাকতেন বিষ্ণু। সম্প্রতি সিস্কোতে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পেযেছিলেন বিষ্ণু। দু’জনেরই বেড়ানোর শখ। বিশ্বের নানা জায়গায় অ্য়াডভেঞ্চার করতে ভালবাসেন। তাই প্রায়ই চাকরি থেকে ছুটি বাঁচিয়ে পিঠে ব্য়াগ নিয়ে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায় দু’জনকেই। ‘হলিডে’ ও ‘হ্য়াপিলি এভার আফটার’ নামে তাঁদের দু’টি ব্লগও রয়েছে। সেখানে প্রায়ই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন তাঁরা।
এ বার জোশেমাইট ন্য়াশনাল পার্কে স্ত্রীকে নিযে ঘুরতে গেছিলেন বিষ্ণু। জোশেমাইটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হল এর টাফ্ট পয়েন্ট, জোশেমাইট জলপ্রপাত ও টিলা এন ক্য়াপ্টেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই ওই পয়েন্টে ছুটে যান পর্যটকরা। তেমনই গিয়েছিলেন বিষ্ণু-মীনাক্ষি। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন তাঁরা।
পার্কের এক আধিকারিক জেমি রিচার্ডস বলেছেন, “ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এখনও বুঝতে পারছিনা কী ভাবে এমনটা ঘটল। সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ”
চেঙ্গানুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করেন বিষ্ণু ও মীনাক্ষি। তাঁদের মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, খুবই হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন দু’জনেই। ভ্রমণের নেশা ছিল তাঁদের। কলেজের এক আধিকারিকের কথায়, “সুন্দর মিষ্টি এই দম্পতির পরিবার ও পরিজনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। ”
Be the first to comment