কেমন আছেন অনুব্রত? খোঁজ নিয়ে এসএসকেএম-এ সিবিআই আধিকারিক

Spread the love

কেমন আছেন অনুব্রত মণ্ডল? খোঁজ নিতে হাসপাতালেই পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিক। ১০ মিনিট হাসপাতালে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তথ্য নেন।  এসএসকেএম সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল আপাতত হাসপাতালেই থাকছেন। তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করেন। বুধবার যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন চিকিৎসকরা। বিকেলে বেশকিছু পরীক্ষা আরও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে বর্তমানে ঠিক আছে। হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই আপাতত। সকালে বাড়ি থেকে এসেছে পাজামা-কুর্তা। হাসপাতালের চা খাননি তিনি। বাইরে থেকে ফ্লাক্সে চা আনা হয়েছিল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জন্য।

এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায় জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সুগারের মাপকাঠির ওপরেও নজর রাখা হয়েছে। তবে সিবিআই এখনও পর্যন্ত যে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তা এদিন জানিয়ে দেন তিনি। চিকিৎসক কর্তা বলেন, “দেশের সংবিধানের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমরা আইন মেনে তদন্তে যেভাবে সাহায্য দরকার করব।”

ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের গরহাজিরা নিয়ে দিল্লির সদর দফতরে রিপোর্ট পাঠাল সিবিআই। সূত্রে মারফত তেমনটাই জানা গিয়েছে। বুধবারই অনুব্রতর গরহাজিরা নিয়ে তাঁর আইনজীবীরা সিবিআই দফতরে চিঠি দিয়ে আসেন। রাতে বৈঠকে বসেন তদন্তকারীরা। এখনও উচ্চতর কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশ পাওয়ার অপেক্ষা করছেন সিবিআই তদন্তকারীরা।

বুধবার সকালে কালো এক্সইউভি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন অনুব্রত। তারপর তাঁকে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে  উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢোকানো হয়।  চিকিৎসকদের কাছে বায়না জুড়ে বসেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি দাবি জানাতে থাকেন, তাঁকে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনেই থাকতে দিতে হবে। যদি তা না সম্ভব হয়, তাঁকে আইসিইউতেই রাখা হোক। অক্সিজেন চালু করে দেওয়া হোক। কিন্তু যখন তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক, তাহলে কিভাবে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেবেন চিকিৎসকরা? সেই ভাবনাচিন্তা করছেন চিকিৎসকরা।  উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবারই তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন ইএনটি, কার্ডিওলজি চিকিৎসক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*