এবার অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের

Spread the love

এবার অনুব্রত মন্ডলের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে সিবিআই হানা। প্রথমে তাঁদের ভিতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলেই খবর। দীর্ঘক্ষণ পর খানিকটা বাধ্য হয়েই মিলের দরজা খুলে দেন কর্মীরা।

অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর একাধিক সম্পত্তি। তার মধ্যে ছিল তিন থেকে চারটি রাইসমিল। যার একটি ভোলে ব্যোম। শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বীরভূমের কালিকাপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে পৌঁছন সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তু তারা দেখেন মিলের গেট ভিতর থেকে বন্ধ করা। ফলে মিলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিল খোলার কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে আধ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মিলের দ্বার খোলা হয়নি। কিন্তু ভিতরে কর্মীদের দেখা যায়। তাঁদের ডাকাডাকি করলেও সাড়া মিলছিল না। শুধু মূল গেট নয়, অন্য দরজা থেকেও সিবিআই প্রবেশের চেষ্টা করেন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর অবশেষে দরজা খুলে দেয় কর্মীরা। এরপরই মিলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আধিকারিকরা।

তদন্তকারীরা গোড়া থেকেই অনুমান করছিলেন, গরু পাচারের টাকার বড় অংশ এই ধরনের ব্যবসায় খাটানো হয়েছে অনেক আগেই। যার হদিশও তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি। সেই কারণেই এবার রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে চাইছে সিবিআই। কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে একাধিক তথ্য মিলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের রাডারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মেয়ের সংস্থা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্ত চলাকালীন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে দু’টি সংস্থার হদিশ তাঁরা পেয়েছেন, যার নথিতে অন্যতম অংশীদার হিসাবে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এইসব বিষয়গুলি নিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সুকন্যার নামে থাকা একটি অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থার ২৫ শতাংশ অংশীদার অনুব্রত, ৭৫ শতাংশ সুকন্যার। অভিযোগ, এই সংস্থার আড়ালে একাধিক রাইস মিলেরও হদিশ মিলেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*