লালার শ্বশুরবাড়িতে এবার সিবিআই তল্লাশি

Spread the love

কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই৷ সেইসঙ্গে লালার সন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের৷ শুক্রবার কলকাতা, আসানসোল, বর্ধমান ও পুরুলিয়ায় একসঙ্গে তল্লাশি চালায় সিবিআই৷ ইতিমধ্যেই তাঁর পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই৷

বিধানসভা ভোটের মুখে রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তের গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এবার কয়লাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন সিবিআইয়ের। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বছরের পর বছর ধরে কয়লাপাচার করে বিপুল সম্পত্তি হয়েছে লালার। এরাজ্য়ের পাশাপাশি ভিনরাজ্যে লালার সম্পত্তি রয়েছে। এদিন লালার সব সম্পত্তির তালিকা আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসঙ্গত, বারবার নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানোর পরে হাজিরা না দেওয়ায় বেআইনি কয়লা পাচার মামলার মূলচক্রী অনুপ মাজিকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করেছিল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একই তকমা দেওয়া হয়েছিল লালার অন্যতম সহযোগী রত্নেশ ভার্মাকে। গত ১১ জানুয়ারি ৮২ ধারায় এই মর্মে একটি নোটিস জারি করেছিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটিসে বলা হয়, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুজনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে হাজিরা না দিলে, আইন মোতাবেক তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিচ্ছে সিবিআই। কয়লাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালা। লালার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। রাজ্যজুড়ে লালার সন্ধানে হানা দিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

অভিযোগ, কয়লা পাচার করে কোটি-কোটি টাকা তুলেছে লালা। অভিযোগ, লালাকে একাজে সহযোগিতা করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা৷ লালার পুরুলিয়া-সহ একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তবে এখনও পর্যন্ত তার নাগাল মেলেনি। লালাকে ধরতে পারলে কয়লাকাণ্ডে বড়সড় রহস্যের উন্মোচন হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এর আগে লালাকে সিবিআই দফতরে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কোনওবারই হাজিরা দেয়নি লালা।

লালার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে সিবিআই। এর আগে তার ঘনিষ্ঠদের অফিসেও অভিযান চালায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ জানা গিয়েছে, লালা ঘনিষ্ঠদের তিনটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ২৫টি নোটবুক উদ্ধার করেছে সিবিআই। তাছাড়াও কিছু ডায়েরি ও রেজিস্টার মিলেছে৷

এই ডায়েরি ও নোটবুকগুলিতে কয়লাকাণ্ডে আর্থিক লেনদেনের হিসেব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে কয়লাকাণ্ডে আসানসোল, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া এলাকায় লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*