বোর্ডের বাকি পরীক্ষা কি বাতিল করছে CBSE? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

Spread the love

CBSE বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষাগুলি হবে কি না, তা জানা যেতে পারে বৃহস্পতিবার। সে দিনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে CBSE।

মঙ্গলবার সিবিএসই ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এ কথা বলার পর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির যে পরীক্ষাগুলি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্পন্ন হয়নি, সে গুলি বাতিল করে দেওয়ার জন্য CBSE-কে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে ওই বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাগুলি বাতিলের দাবিতে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন জনৈক অভিভাবক অমিত বাথলা। তারই প্রেক্ষিতে সিবিএসই-কে তাঁদের নির্দেশিকা জানাতে বলেছিল বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত পরীক্ষাগুলি বাতিলের বিষয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য বলে সিবিএসই-কে।

লকডাউনের কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির যে বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, ১ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল CBSE-র। বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছে এমন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। যে পরীক্ষাগুলি নেওয়া হয়ে গিয়েছে তার নম্বর ও যে গুলি হয়নি সেগুলির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে গড়ে নম্বর গিয়ে ফলপ্রকাশের আর্জি জানানো হয়েছিল পিটিশনে।

লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর স্বাস্থ্যের কথা মাথা রেখে পিটিশনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রছাত্রীরা করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে।

পরিস্থিতির গুরুত্বের কথা বিচার করে সিবিএসই বিদেশের প্রায় ২৫০টি স্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও পিটিশনে জানানো হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*