জেলখানা থেকে কয়েদি পালানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল হাইকোর্ট

Spread the love

জেলখানা থেকে কয়েদি পালানো নিয়ে কয়েকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। তারপরেও সেভাবে কর্মী নিয়োগ হয়নি। অথচ কর্মীর অভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম রাজ্যের সংশোধনাগার ও উপ সংশোধনাগারগুলির। এই নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৬ মাসের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, উপ সংশোধনাগারগুলিতে শূন্যপদ পূরণে ২০১৭ সালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীসংখ্যা নিয়ে রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।

সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হলফনামা দিয়ে বিষয়টি জানান। এজির পেশ করা হলফনামা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কর্মীর সংখ্যা ৭৮ জন। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কর্মীর সংখ্যা ১০৬ জন। আলিপুরে ৬০ জন। আর আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে ৩৪ জন। মেদিনীপুরে ৭০ জন। বর্ধমানে ৯ জন। দার্জিলিং, বহরমপুর ও হাওড়ায় ১০, ৭ ও ৫ জন। এইরকম অন্যান্য উপ সংশোধনাগারেও কর্মীর অভাব মারাত্মক আকার নিয়েছে। এর ফলে বন্দিরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না। সমস্ত কিছু শুনে আগামি ৬ মাসের মধ্যে কর্মীর অভাব মেটানোর নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*