ভোটগ্রহণ শেষ ৷ এবার ফলাফলের পালা ৷ আগামীকাল অর্থাৎ ২ মে রাজ্যে ভোট গণনা হতে চলেছে ৷ নির্ধারিত হবে কে নেবে নীল বাড়ির দখল । যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তার মধ্যে নির্বিঘ্নে গণনা পরিচালনাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের সামনে । এবার রাজ্যে গণনা কেন্দ্রের মোট সংখ্যা ১০৮। তাই করোনা পরিস্থিতিতে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গণনা সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাই ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন ।
গণনার সময় যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তাই, রাজ্যে থাকছে ২৪২ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক প্ল্যাটুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে প্রত্যেকটি স্ট্রং রুমের সামনে। ২৪ ঘণ্টা চলবে স্ট্রং রুমের নজরদারি। বাইরে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনা কেন্দ্রের একেবারে বাইরে থাকছে রাজ্য পুলিশের স্বতন্ত্র বাহিনী। তারপর থাকছে দ্বিতীয় ভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সর্বশেষ তৃতীয় স্তরেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও দ্বিতীয় স্তরে রাজ্য পুলিশ সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এই গণনা কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করতে গেলে কাউন্টিং এজেন্টরা কেবলমাত্র ফর্ম, পেন ও সাদা কাগজ সঙ্গে আনতে পারবেন ৷ এছাড়া আর কোনও জিনিস নিয়ে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পোলিং এজেন্ট ও প্রার্থীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে । বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমও । যে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা ভোট গণনা কেন্দ্রে যাবেন তাঁদেরও সেই একই পরীক্ষা করাতে হবে । তবেই তাঁরা গণনা কেন্দ্রে বা সেখানকার মিডিয়া সেলে প্রবেশ করতে পারবেন । কঠোরভাবে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।
সকাল ৮টা থেকে গণনার কাজ শুরু হবে । প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনার কাজ শুরু হবে । তারপর সাধারণ ব্যালট পেপারের গণনা হবে । জানা গিয়েছে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ইভিএম গণনার কাজ শুরু হবে । কোন টেবিলে কোন পোলিং স্টেশনের গণনা হবে তার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আগে থেকেই ফর্ম দেওয়া হবে । তার ভিত্তিতেই প্রতিটি কাউন্টিং হলের ভিতর কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে পারবে বা বেরোতে পারবে । তবে একটা হলের ভিতর সবকটি ইভিএম গণনা হয়ে যাওয়ার পরেই হলে নতুন ইভিএম আসবে ।
মনে করা হচ্ছে যেহেতু গণনা হলগুলি বারে বারে স্যানিটাইজ করা হবে তাই স্বাভাবিক সময়ের একটু বেশি সময় লাগবে গণনা শেষ হতে । সাধারণত সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই একটা ট্রেন্ড বোঝা যায় । তবে এবার বেশ কিছুটা সময় বেশি লেগে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
Be the first to comment