
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা : ধুলিয়ানে আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে উচ্চ আদালত। এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক সদস্য। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি।
পাশাপাশি সেখানে শান্তি রক্ষায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যকে এখনই স্কিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মৃতদের পরিবারকে শুধু টাকা দেওয়া নয়, প্রয়োজনে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি আসতে আসতে স্বাভাবিক হলেও এখনও থমথমে সেখানে। এখনও টহল দিচ্ছে বিএসএফ। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধুলিয়ানে পুরসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাট চালানো হয় একটি শপিংমলে। এদিকে ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি বিধায়ককেও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা নিয়ে এদিন বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
Be the first to comment