যদি কোনও গ্রাহক অতিরিক্ত বিল জমা দিতে না পারেন, তাহলে তাঁর বিদ্যুতের লাইন কাটতে পারবে না। সিইএসসি-কে কড়া বার্তা দিল রাজ্য সরকার। লকডাউন পরবর্তী সময়ে অস্বাভাবিক বিল নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। গ্রাহকদের হয়রানি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। তাঁরা বিলের অঙ্ক জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন। এমনকি খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রীর এই মাসে চার গুন বেশি বিল এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারই সিইএসসি-এর দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কেন বেশি বিদ্যুতের বিল এসেছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, সিইএসসি’কে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে চলেছে রাজ্য সরকার। তাতে বলা হবে, আগামী এক মাসের মধ্যে বিলের ভুল ত্রুটি ঠিক করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিল বাবদ টাকা নেওয়া যাবে না। এছাড়া, যদি কোনও গ্রাহক অতিরিক্ত বিল জমা দিতে না পারেন, তাহলে তাঁর বিদ্যুতের লাইন কাটতে পারবে না।
সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সাফাই, লকডাউনের সময় প্রভিশনাল বিল তৈরি হয়েছিল আগের ছ’মাসের গড় বিলের হিসেবে। মিটার রিডিংয়ের পরে পুরো বিদ্যুৎ খরচ আসছে। তাই টাকাটা বেশি। তবে একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার জুলাইয়ের বিল মেটানোর সময় ১০ দিন বাড়িয়েছে তারা। তারা জানিয়েছে, চাইলে গ্রাহক তিন কিস্তিতেও টাকা দিতে পারবেন। অনেকের প্রশ্ন, বিলের হিসেব নিয়েই যেখানে বিভ্রান্তি, সেখানে কিস্তি কেন?
বিদ্যুতের বিল বিভ্রাটে জেরবার টলিউডও। অঙ্কুশের পর মাথায় হাত এবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়েরও। তিনি নিজেই সেই বিলের ছবি টুইট করেছেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টলিউডের এই পরিচালক লিখেছেন, আমরা তিনজন। অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন আমাদের। বিশেষ করে এরম অনিশ্চিত সময়ে আরো খরচ সামলে চলেছি সবাই। খুব গরম দুপুর একটি ও রাতে শোবার সময় দুটি এসি চলে। কোনোদিন একসঙ্গে তিনটি এসি চলে না আমাদের বাড়িতে। সবই এলইডি আলো! তাও বারবার এরম বিল! বিকল্প নেই! অসহায়! আগের বিল ছিল ১৬ হাজার’! সেই সঙ্গে ১৯,৯০০ টাকার বিলের ছবিটিও পোস্ট করেছেন তিনি।
ট্যুইটারে জুলাই মাসের ইলেকট্রিক বিলের ছবি দিয়ে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, যেখানে প্রতি মাসে তাঁর গড় বিল ৪০০০ টাকা আসে সেখানে কীভাবে একলাফে তা ২১০০০ হয়ে গেল।
বিদ্যুতের বিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। বিলের ছবি পোস্ট করে যশ লিখেছেন, ‘এটা স্বাভাবিক বিল হতে পারে না। CESC-কে অনুরোধ করছি আমার বাড়ির বিল খতিয়ে দেখা হোক। আমার ১৭,৬৬০ টাকা বিল এসেছে, গত কয়েকবছর ধরে আমি যে বিল দিয়ে আসছি, তার তুলনায় এই বিল যুক্তিহীন।
Be the first to comment