জেলে থাকলেও প্রাণে বেঁচে সংগ্রামপুরের খোঁড়া বাদশা ও তার সাগরেদরা। কিন্তু শান্তিপুরে রেহাই পেলেন না বিষমদের কারবারি চন্দন মাহাতো। বিষমদের বলি হলেন তিনিও। মঙ্গলবার রাত থেকে চন্দনের চোলাইয়ের ঠেকে মদ খেয়ে একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। আর এ দিনই দুপুরের পরে অসুস্থ বোধ করেন চন্দনও। রাতে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৩৫ এর এই যুবকের। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত বিষমদের বলি হলেন ১২ জন। এখনও অসুস্থ ২৪ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় গতকালই আবগারি দফতরের তিন আধিকারিক সহ আট কর্মীকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। আজ ক্লোজ করা হল শান্তিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুন্দ চক্রবর্তীকে। গতকালই অর্থ ও আবগারি দফতরের মন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য রানাঘাট রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর, শান্তিপুর সার্কেলের বর্তমান ও প্রাক্তন ওসি এবং আবগারি দফতরের আট কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।
গতকালই বিষমদ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় সাধন বিশ্বাস, জয়দেব সাঁতরা, জয়ন্তী মাহাতো, ও গুছিয়া মাহাতোকে। এরা মূল অভিযুক্ত চন্দনের সঙ্গেই চোলাইয়ের কারবার চালাতো বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। তাঁরা জানান, মূলত বর্ধমান থেকে চোলাই নিয়ে এসে বিক্রি করা হতো চন্দনের ঠেকে। আর সেখানেই ভিড় জমাতেন স্থানীয় একটি ইটভাটার শ্রমিকরা। মৃতদের পরিজনরা বলেন, মদ খেতে বাধা দিলে যেমন তাদের রোষের মুখে পড়তে হতো, তেমনই প্রতিবাদ জানিয়ে চোলাই কারবারিদের হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। এক শ্রেণির পুলিশ ও আবগারি কর্মীর মদতেই এই কারবার চলতো বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
Be the first to comment