নির্বাচন শুরুর পরই চার পুরসভায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চন্দননগরের একাধিক বুথেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। চন্দননগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দীপা চৌধুরীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেও অভিযোগের আঙুল তৃনমূলের দিকেই। গৌরহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪০ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে ছবি তুলতে যান ওই বিজেপি প্রার্থী। বুথের মধ্যেই তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মহিলা প্রার্থীর গায়ে হাত তোলায় চন্দননগরের এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ-ধরনায় বসে বিজেপি। কিছুক্ষণ পর সেই বিক্ষোভ উঠে যায়। সকাল থেকেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বুথে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর মিলেছে। সেখানে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এদিনের ভোট নিয়ে দিনভর বিস্তর অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বহিরাগত ঢুকিয়ে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানোর মতো ঘটনা ঘটেছে বলে সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের অভিযোগ। যে যে বুথে শাসকদলের কর্মীরা বাধা পেয়েছে সেখানেই বিরোধীদের উপর চড়াও হয়েছে তারা। যদিও তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে নাটক করছে বিরোধীরা। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
Be the first to comment